কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার ত্রাতা ছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কিংসলে কোমানের নেয়া শট দুর্দান্ত ক্ষীপ্রতায় ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন বাজপাখি খ্যাত এই গোলরক্ষক, নিশ্চিত করেছিলেন ৩৬ বছর পর আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপ শিরোপা জয়। সেই মার্টিনেজ আরও একবার ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হলেন এবারের কোপা আমেরিকায়।
কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে আজ ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে আজ প্রথমার্ধে লিস্নাদ্রো মার্টিনেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। তবে ম্যাচের শেষদিকে এক গোল হজম করার টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা।
বিজ্ঞাপন
টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করেছেন মার্টিনেজ। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে আজ প্রথম পেনাল্টি শট নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপেও প্রথমে শট নিয়ে জালের দেখা পেয়েছিলেন তিনি, তবে আজ ব্যর্থ হয়েছেন। তবে মেসি মিস করলেও আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করেছেন বাজপাখি মার্টিনেজ।
ইকুয়েডরের নেয়া প্রথম দুইটি শটই আজ ঠেকিয়ে দিয়েছেন মার্টিনেজ। ফলে টাইব্রেকারে জিতে কোপার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। এদিকে ম্যাচ শেষে মার্টিনেজ জানিয়েছেন, গোলরক্ষক হিসেবে নিজের উন্নতির জন্য প্রতিদিন প্ররিশ্রম করে চলেছেন তিনি। এওমনকি প্রতিদিন অনুশীলনে ৫০০ এর মুখোমুখি হন বলেও জানিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে মার্টিনেজ জানিয়েছেন, সমর্থকদের ভালোবাসা, তাদের আবেগ-অনুভূতির যথার্থ মূল্যায়ন করতেই ভালো খেলতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি এমন কিছুর জন্যই কাজ করি। প্রতিদিন অনুশীলনে আমি ৫০০ এর মতো শটের মুখোমুখি হই। চেষ্টা করি সব সময়ই ভালো অবস্থানে থাকতে। আমার দেশের এটা প্রাপ্য।’
বিজ্ঞাপন
মার্টিনেজ আরও বলেন, ‘মানুষ টাকা খরচ করে আমাদের খেলা দেখতে চায়। আমি তো মানুষের কণ্ঠের আবেগ মিস করি, তাদের উল্লাস মিস করি। এ সব নিয়ে আমি গর্বিত। একজন গোলকিপার হিসেবে এবং ব্যক্তি হিসেবে আমি আরও উন্নতি করতে চাই।’