বিপিএলে গতকাল সন্ধ্যায় দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকার দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কাল কুমিল্লার হয়ে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। টাইগার এই ব্যাটার দুর্দন্ত ব্যাটিংয়ে বিপিএলে নিজের প্রথম শতক হাঁকিয়েছেন কাল। একই সঙ্গে এটি এবারের মৌসুমেরও প্রথম সেঞ্চুরি। হৃদয়ের খেলা ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা।
কুমিল্লাকে জেতানোর পথে কাল ৫৭ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন হৃদয়। ৫৩ বলে শতক ছোঁয়া হৃদয় শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছেন দলকে জিতিয়েই। ৮ চার আর ৭ ছয়ে সাজানো ছিল তাঁর ঝলমলে ইনিংসটি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে দুর্দান্ত শতকে দলকে জিতিয়ে কাল ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন হৃদয়। এরপর তিনি কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। ম্যা শেষে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত রান ৯০ পেরিয়ে গেলেও শতকের কথা চিন্তা করেননি তিনি, তাঁর লক্ষ্য ছিল দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়া। হৃদয় বলেন, ‘আমি শুধু চেষ্টা করেছি তাড়াতাড়ি ম্যাচটা শেষ করার।’
শতক হাঁকানোর স্বপ্ন সব ব্যাটারের থাকে জানিয়ে হৃদয় বলেন, ‘আমি এক শর জন্য খেলিনি। ৯০ রানের পরেও না। চেষ্টা করেছি ফিনিশ করার।’ ইনিংসের শুরুতে দল যখন ঘোর বিপদে, তখনো একই মানসিকতায় ব্যাটিং করেছেন তিনি, ‘প্রত্যেক ব্যাটসম্যানেরই স্বপ্ন থাকে এক শ করার। গত বছর সুযোগ ছিল, আসেনি। এবার হয়েছে। উইকেট গেলেও আমার পরিকল্পনা ছিল মেরে খেলার।’
৭ ছয়ে সাজানো ইনিংসের পর ছয় মারা নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘যেটা বললেন, ছয় মারতে পাওয়ার (দরকার হয়), বড় প্লেয়াররা ওয়েস্ট ইন্ডিজের যারা আছে, তারাই বড় ছয় মারে। আমাদের দেশের ব্যাটাররাও বড় ছয় মারে। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন, প্রত্যেকটা ব্যাটারই বড় বড় ছয় মারে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, ছয় মারা কঠিন কিছু না। যদি আত্মবিশ্বাসটা থাকে, আমার মনে হয় ছক্কা যেকোনো সময় যেকোনো মাঠে হবে।’
তবে মেরে খেলার ব্যাপারে দেশীয় ক্রিকেটারদের কিছুটা ঘাটতি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। টাইগার ব্যাটার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা এ রকম পরিস্থিতিতে কম অভ্যস্ত। আমরা যখন আস্তে আস্তে খেলতে থাকব, আরও ম্যাচে যখন এ রকম ছয় মারব, প্রত্যেকটা ব্যাটার যখন মারবে, তখন আত্মবিশ্বাসটা আসবে যে আমি মারলে ছয় হবে।’

