সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ক্রিকেটে নতুন যে পরিবর্তন আনল আইসিসি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

ক্রিকেটে নতুন যে পরিবর্তন আনল আইসিসি

সময়ের সাথে আধুনিক হয়েছে ‘ওল্ড ফানি গেইম খ্যাত’ ক্রিকেট। প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রতিনিয়ত শানিত হয়েছে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। তবুও নিয়ম কানুনের ফাঁক গোলে কখনও বাড়তি সুবিধা পান ফিল্ডিং সাইড আবার কখনও বা বেনিফিট অফ ডাউট যায় ব্যাটারের পক্ষে। এতোদিন আইসিসির নিয়মের এমনই এক কৌশল কাজে লাগিয়ে সুযোগ নিয়েছে ক্রিকেটাররা। তবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সেই দুর্বলতা কাজে লাগানোর সুযোগ এবার আর পাবেনা দলগুলো। খেলার গতি ধরে রাখার লক্ষ্যে আবারও নিয়মে পরিবর্তন এনেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে নতুন নিয়মগুলো কার্যকর করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ট্যাক্সিচালক থেকে তারকা ক্রিকেটার হওয়ার হার না মানা সংগ্রাম


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন-১২২ বছরের ইতিহাসে যে রেকর্ড গড়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্টাম্পিংয়ের আবেদন পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ব্যাটার কট বিহাইন্ড হয়েছেন কি না সেটা যাচাই করবেন না আম্পায়াররা। ফিল্ডিং দল আউটের আবেদন করলে ব্যাটার স্টাম্পড আউট হয়েছেন কি না শুধুমাত্র সেটিই দেখা হবে। উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচের আবেদন করলে দ্বিতীয়বারের জন্য রিভিউ নিতে হবে বোলিং দলকে।

আরও পড়ুন- ১৪৭ বছরের ইতিহাসে যে লজ্জার রেকর্ডে শীর্ষে ভারত

আরও পড়ুন- ১১১ বছর পর কেপটাউনে লজ্জার রেকর্ডে দক্ষিণ আফ্রিকা 


বিজ্ঞাপন


আইসিসির সংশোধনীতে বলা হয়, ‘পরিবর্তিত রিভিউ শুধুমাত্র স্টাম্পড আউট পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। রিভিউ না নেওয়া সত্ত্বেও অন্য ডিসমিসালের (যেমন-কট বিহাইন্ড) ক্ষেত্রে ফিল্ডিং দল যেন একটি ফ্রি রিভিউ না পায়, সেটা প্রতিরোধ করার জন্যই এই নিয়ম।’

আইসিসির নতুন যে নিয়ম গুলো আনল- 

স্টাম্পিং আউটে আম্পায়ারের রিভিউ নিয়ে যা বলা হয়েছে- 

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াকে এই নিয়মের সুযোগ নিতে দেখা গেছে। গত বছর, ভারত সফরে টেস্ট সিরিজ খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়ান দল রিভিউ শেষ হওয়ার পর বারবার স্টাম্পিং করছিল, তাদের উদ্দেশ্য ছিল ‘ক্যাচ-বিহাইন্ড’-এর আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করা। অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ আইসিসির নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আসলে, স্টাম্পিংয়ের সিদ্ধান্ত যখন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যায়, তখন তিনি স্টাম্পিংয়ের সঙ্গে ক্যাচ-বিহাইন্ড চেক করতেন।

স্টাম্পিংয়ের আবেদন-

ক্রিকবাজের মতে, এখন এই নিয়মগুলি পরিবর্তন করা হয়েছে, যদি ক্রিকেটার এখন স্টাম্পিংয়ের জন্য লেগ আম্পায়ারের কাছে আবেদন করে, তাহলে তৃতীয় আম্পায়ার সাইড-অন রিপ্লেতে মনোযোগ দেবেন এবং শুধুমাত্র স্টাম্পিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এরপর ক্যাচ-বিহাইন্ডের বিষয়ে দল আপিল করতে চাইলে তাদের রিভিউ নিতে হবে।

কনকশন প্রতিস্থাপন-

কনকাশন নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। কোনো দলের বোলার যদি চোটের কারণে উঠে যান এবং পরিবর্তে অন্য বোলার নামেন, তখন তার বল করার ওপরও শর্ত রয়েছে। বদলি বোলার কেবল তখনই বল করতে পারবেন যদি আগের বোলার বল করার সময় চোট পান। যদি অন্য কোনো সময় তিনি চোট পান, তাহলে বদলি হিসেবে কোনো বোলার নামলেও তিনি বল করতে পারবেন না।

মাঠের ইনজুরির চিকিৎসা-

এছাড়া চোট পেলে ক্রিকেটারদের পরীক্ষার জন্যও সময় বেধে দিয়েছে আইসিসি। আগে মাঠে চোট পেলে ক্রিকেটারদের পরীক্ষার জন্য কোনো সময় বাধা ছিলো না। ফলে, ফিল্ডিংরত দল ইচ্ছেমতো সময় নিতে পারতো। কিন্তু এখন থেকে মাঠে চোট পেলে ৪ মিনিটের বেশি সময় নিতে পারবেন না চিকিৎসকরা। এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের।

অটো নো-বল-

থার্ড আম্পায়ারের কাছে সামনের পা ছাড়া অন্য সব ধরনের ফুট ফল্ট নো বল স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা করার ব্যাপক সুযোগ থাকবে।

 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর