ঘরের মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে প্রোটিয়ারা। আগে ব্যাট করতে নেমে ২৩.২ ওভারেই ৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে দিয়ে প্রোটিয়াদের ১১১ বছরের লজ্জায় ফেলেছে ভারত। এর আগে সবশেষ ১৯১২ সালে ৫৮ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যাওয়ার ইতিহাস ছিলো। আজ সেই শত বছরের পিছনের লজ্জায় ফেলেছে ম্যান ইন ব্লুরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এনগিডি ও রাবাদার ১১ বলের জাদুকরি স্পেলে ৩৪.৫ ওভারে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় রোহিত শর্মার দল। এতে ৯৮ রানের লিড পায় প্রোটিয়ারা। এদিকে এমন ব্যাটিংয়ে ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখায় ভারত।
আরও পড়ুন-১১১ বছর পর কেপটাউনে লজ্জার রেকর্ডে দক্ষিণ আফ্রিকা
আরও পড়ুন-১৪৭ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানের লজ্জার রেকর্ড
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৫৫ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চা-বিরতির পর একটা সময় ভারতের রান ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান । এরপর মাত্র ১১ বলের ব্যবধানে কোনো রান যোগ না করেই ৬টি উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। যা টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল। ফলে নতুন এক লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখালো ম্যান ইন ব্লুরা ।
আরও পড়ুন-বর্ণিল ক্যারিয়ারে যে ট্রফি এখনও পাননি মেসি
আরও পড়ুন-টি-টোয়েন্টির জৌলুশে কি হারিয়ে যাবে টেস্ট ক্রিকেট?
এর আগে শেষ ৫ উইকেট জুটিতে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের। ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমসিজিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ রান তুলতে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছিল তারা। এবার তাকে ছাপিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এই রেকর্ডে প্রথম ভারত।
প্রোটিয়াদের স্বল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতের ১১ ব্যাটারের ৭ জনই খুলতে পারেননি রানের খাতা। সর্বোচ্চ্ ৪৬ রান এসেছে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। এছাড়া অধিনায়ক রোহিত ৩৯ ও তিনে নেমে শুবমান গিল করেছেন ৩৬। তিন প্রোটিয়া পেসার লু্ঙ্গি এনগিদি, কাগিসো রাবাদা ও নান্দ্রে বার্গার নেন তিনটি করে উইকেট।