রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিড়ি-সিগারেট বিক্রি করা কি জায়েজ?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৩, ০১:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বিড়ি-সিগারেট বিক্রি করা কি জায়েজ?

সারা বিশ্বের ডাক্তারদের ঐকমত্যে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় এ কথাও প্রমাণিত যে, ধুমপানকারীর আশেপাশে যারা থাকেন, তারাও শারীরিকভাবে সমান ক্ষতিগ্রস্ত হন যতটা ধুমপানকারীর নিজের হয়ে থাকে। বিড়ি খেলে কি ক্ষতি হয়, বিড়ি সিগারেট খেলে কি হয়

তাছাড়া ধূমপানের কারণে মানুষের মুখ দুর্গন্ধযুক্ত থাকে। ফলে তা অনেকের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে ইসলামি আইনজ্ঞরা ধূমপান করাকে মাকরুহ বলে থাকেন। (ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ১১/৪০৬) নিকোটিন মুক্ত সিগারেট, কোন সিগারেট ভালো,  সিগারেটের ধোঁয়ায় কোন গ্যাস থাকে


বিজ্ঞাপন


বিড়ি, সিগারেটে মানুষের শারীরিক ক্ষতি থাকার কারণে এগুলোর ব্যবসা করাও মাকরুহ হবে। তবে মুফতি তাকি উসমানি (দা.বা.) সিগারেট বিক্রির ব্যাপারে লিখেছেন, সিগারেট বিক্রি করা যাবে এবং এর বিক্রির টাকাও হালাল হবে, তবে না করা উত্তম। (ফতোয়ায়ে উসমানি: ৩/৮৮-৮৯)

তবে, গাঁজা বিক্রি করা হারাম। কেননা, এটি সিগারেটের মতো নয়, বরং গাঁজা মানুষের বিবেক-বুদ্ধি আচ্ছন্ন করে, অনুভূতি ও বিচার-বুদ্ধি, বোধশক্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ শক্তি হরণ বা প্রভাবিত করে, তাই তা একপ্রকার খামর বা মাদকদ্রব্য। আল্লাহ ও রাসুল (স.) খামর হারাম করেছেন। আর বলা বাহুল্য যে, গাঁজা, আফিম, কোকেন, প্রভৃতি এই পর্যায়েরই জিনিস। এর দলিল হলো—ওমর (রা.) মিম্বরে দাঁড়িয়ে ভাষণ দানকালে কোরআনে ব্যবহৃত خمر শব্দের তাৎপর্য বোঝাতে গিয়ে বলেন- والخمرُ ما خامَرَ العقلَ ‘আর যা মানুষের বিবেকবুদ্ধি বিলোপ করে দেয়, তা-ই মদ।’ (সহিহ মুসলিম: ৩০৩২) সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিড়ি-সিগারেট-জর্দা ইত্যাদি ক্ষতিকর পণ্যের ব্যবসা বন্ধ করার তাওফিক দান করুন। আমিন। বিড়ি সিগারেট বিক্রি হারাম, সিগারেট বিক্রি নাজায়েজ, সিগারেট বিক্রি মাকরুহ, গাঁজা বিক্রি করা হারাম, সিগারেট খাওয়া হারাম, সিগারেট খাওয়া মাকরুহ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর