রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নামাজে মোবাইল-ফোন বেজে উঠলে করণীয়

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০২:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

নামাজে মোবাইল-ফোন বেজে উঠলে করণীয়

মসজিদে নামাজ পড়ার সময় প্রায়ই মোবাইল ফোন বেজে ওঠার শব্দ শোনা যায়। নামাজের আগে অসতর্কতাবশত মোবাইল সাইলেন্ট না করার কারণে এমনটি হয়। এতে মুসল্লিদের মনোযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। নিজেকেও বিব্রত হতে হয়। 

কারো মোবাইলে নামাজ পড়ার সময় এভাবে রিংটোন বেজে ওঠলে তার কর্তব্য হলো—মোবাইলের দিকে না তাকিয়ে নামাজের মধ্যেই এক হাতের সাহায্যে মোবাইলের রিংটোন বন্ধ করে দেওয়া। তবে কারও কল এলো কি না—তা ইচ্ছাকৃত দেখার কারণে নামাজ মাকরুহ হবে। কেননা নামাজ অবস্থায় কোনো লেখা দেখা এবং বোঝার চেষ্টা করা মাকরুহ।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—নামাজে মোবাইলের রিংটোন বন্ধ করার জন্য দুই হাত ব্যবহার করা যাবে না। পকেট থেকে মোবাইল বের করতে হলে সেক্ষেত্রেও এক হাতে বন্ধ করতে হবে। কারণ একসঙ্গে দুই হাত ব্যবহার করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। 

আরও পড়ুন: প্রস্রাবের চাপ নিয়ে নামাজ, হাদিসে যা আছে

সুতরাং ‘কল আসামাত্রই মোবাইলটি এক হাত দিয়ে দ্রুত বন্ধ করে দিতে হবে। তবে বন্ধ করার জন্য বাটন দেখার প্রয়োজন হলে দেখতে পারবে।’ (আল-মুহিতুল বুরহানি: ২/১৫৯; শরহুল মুনইয়াহ, পৃষ্ঠা-৪৪৭; আদ্দুররুল মুখতার: ১/৬৩৪, ৬২৪)

নামাজের আগে সতর্কতা প্রসঙ্গে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এতে মনোযোগ ধরে রাখা আবশ্যক। তাই মোবাইল ব্যবহারকারীদের কর্তব্য হলো মসজিদে প্রবেশের আগেই অথবা অন্ততপক্ষে নামাজে দাঁড়ানোর আগে মোবাইল ফোন বন্ধ বা সাইলেন্ট করে রাখা। কেননা নামাজের মধ্যে মোবাইল বেজে উঠলে অন্য নামাজিদেরও ব্যাঘাত ঘটে। তাই যথাসময়ে ফোন বন্ধ-সাইলেন্টের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,‘যারা নিজেদের নামাজের হেফাজত করে, এরাই আল্লাহর জান্নাতে মর্যাদাসহকারে প্রবেশ করবে।’ (সুরা মাআরিজ: ৩৪-৩৫)


বিজ্ঞাপন


আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই সফল হয়েছে মুমিনরা, যারা নিজের নামাজ আদায় করে বিনীতভাবে।’ (সুরা মুমিন: ১-২)

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, `এরূপ নামাজিদের জন্য বড় সর্বনাশ যারা স্বীয় নামাজ হইতে গাফেল। (সূরা মাউন: ৪-৫)

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের ব্যাপারে অধিক যত্নশীল তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর