রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

প্রস্রাবের চাপ নিয়ে নামাজ, হাদিসে যা আছে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রস্রাবের চাপ নিয়ে নামাজ, হাদিসে যা আছে

ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হলো নামাজ। মুসলমানদের প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করা ফরজ। এ নামাজ আদায়ে ইখলাস ও গভীর মনোযোগের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রস্রাব পায়খানার চাপ নিয়ে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে হাদিসে। 

আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, যখন নামাজে দাঁড়িয়ে যায় আর তোমাদের কারও প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজন দেখা দেয়, সে যেন প্রথমে প্রয়োজন সেরে নেয়। (তিরমিজি : ১৪২)

হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির জন্য হালাল নয় কারও গৃহাভ্যন্তরে অনুমতি ব্যতীত দৃষ্টিপাত করা... এবং কেউ যেন প্রস্রাব-পায়খানার চাপ নিয়ে নামাজ না পড়ে।’ (তিরমিজি: ৩৫৭)

আরও পড়ুন: নামাজ না পড়া শিরক, না কুফরি?

প্রস্রাব-পায়খানা ও বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ পড়া বিষয়ে ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্য হলো— প্রস্রাব-পায়খানা এবং বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ শুরু করা মাকরুহে তাহরিমি। আর স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর নামাজের ভেতরে এমন চাপ সৃষ্টি হলে নামাজের পর্যাপ্ত ওয়াক্ত বাকি থাকা সত্ত্বেও এ অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাওয়া মাকরুহ। এ ক্ষেত্রে নামাজ ছেড়ে দিয়ে অজু-ইস্তিঞ্জা সেরে পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে নামাজ আদায় করা কর্তব্য। কেননা এতে নামাজের খুশু-খুজু বিঘ্নিত হয় এবং এক ধ্যানে নামাজ আদায় করা সম্ভব হয় না। 

নাফে (র.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, এক ব্যক্তি পেটে বায়ুর চাপ বোধ করে। তিনি বললেন, ‘বায়ুর চাপ বোধ করা অবস্থায় সে যেন নামাজ না পড়ে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৮০২২)

হ্যাঁ, নামাজের ওয়াক্ত যদি এত স্বল্প থাকে যে, প্রয়োজন সারতে গেলে নামাজ কাজা হয়ে যাবে তাহলে সম্ভব হলে এ অবস্থায়ই নামাজ পড়ে নেবে। পর্যাপ্ত ওয়াক্ত থাকার পরও কোনো ইমাম বা একাকী নামাজ আদায়কারী যদি এ অবস্থায় নামাজ পড়ে নেয় তবে এমনটি করা মাকরুহ হলেও তাদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার: ১/৩৪১-৬৪৪)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সব বিধান জানার ও বুঝার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর