সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

যেসব ভাষায় নাজিল হয়েছে চার আসমানি কিতাব

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

নবী-রাসুলদের ওপর আল্লাহর নাজিলকৃত কিতাবগুলোর মধ্যে প্রধান চার আসমানি কিতাব হলো— তাওরাত, জাবুর, ইনজিল ও কোরআন। এই পবিত্র কিতাবগুলোর ভাষা কী ছিল—সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

কোরআন
মানুষ ও জ্বিন জাতির হেদায়াতের জন্য নাজিলকৃত সর্বশেষ আসমানি কিতাবের নাম আল-কোরআন। সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (স.)-এর ওপর আরবি ভাষায় এই কিতাব অবতীর্ণ করা হয়। নবীজির মাতৃভাষা ছিল আরবি। তাই এই কিতাব আরবিতেই নাজিল করা হয়েছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি একে আরবি কোরআনরূপে নাজিল করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।’ (সুরা ইবরাহিম: ২)


বিজ্ঞাপন


ইনজিল
প্রিয়নবী (স.)-এর আগের নবী হজরত ঈসা (আ.)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল ইনজিল। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদের পর তাওরাতের সত্যায়নকারীরূপে ঈসা বিন মরিয়ম (আ.)-কে প্রেরণ করেছি। মুত্তাকিদের জন্য পথনির্দেশ ও উপদেশরূপে তাঁকে ইনজিল প্রদান করেছি তাঁর পূর্বে অবতীর্ণ তাওরাতের সত্যায়নকারীরূপে, যাতে ছিল উপদেশ ও আলো।’ (সুরা মায়েদা: ৪৬)

ইবনে কাসির (রহ.)-এর মতে, ঈসা (আ.)-এর ভাষা সুরিয়ানি ছিল। ইবনে তাইমিয়াহ (রহ.) ও ইবনুল কাইয়িম (রহ.)-এর মতে তাঁর ভাষা ছিল হিব্রু। সে হিসেবে ইনজিল সুরিয়ানি বা হিব্রু ভাষায় নাজিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

জাবুর
পবিত্র কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, জাবুর দাউদ (আ.)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে। এই কিতাব সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমার কাছে ওহি প্রেরণ করেছি, যেমন নুহ ও তাঁর পরবর্তী নবীদের কাছে প্রেরণ করেছিলাম; ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাঁর বংশধর; ঈসা, আইয়ুব, ইউনুস, হারুন ও সোলায়মানের কাছে ওহি প্রেরণ করেছিলাম এবং দাউদকে জাবুর দিয়েছিলাম।’ (সুরা নিসা: ১৬৩)

জাবুর কোন ভাষায় নাজিল হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে ‘ইসলাম ওয়েবের’ তথ্যমতে, দাউদ (আ.) ছিলেন বনি ইসরাইলের নবী। আর কোরআনের ভাষ্যমতে, মহান আল্লাহ কোনো রাসুলকে তার জাতির ভাষা ছাড়া পাঠাননি। (সুরা ইবরাহিম: ৪)। সে হিসেবে বনি ইসরাইলের মাতৃভাষা যেহেতু হিব্রু ছিল, তাই ‘জাবুর’ হিব্রু ভাষায় অবতীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।


বিজ্ঞাপন


তাওরাত
তাওরাত নাজিল হয়েছিল মুসা (আ.)-এর ওপর। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছি, যাতে আছে পথনির্দেশনা ও আলো। আল্লাহর অনুগত নবীরা তদানুসারে ইহুদিদের পরিচালনা করত এবং খোদাভীরু ও জ্ঞানীরাও। কারণ তাদের আল্লাহর কিতাব সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং এ ব্যাপারে তারা সাক্ষী ছিল।’ (সুরা মায়েদা: ৪৪)

যেহেতু মুসা (আ.)-এর ভাষা হিব্রু ছিল, তাই তাঁর ওপর নাজিলকৃত কিতাব হিব্রু ভাষায় নাজিল করা হয় এবং তার নাম হিব্রু ভাষায় রাখা হয়। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর