রোববার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

গালমন্দ শুনলে শয়তানের শক্তি বাড়ে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

গালমন্দ শুনলে শয়তানের শক্তি বাড়ে

শয়তান আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়াকে গ্রহণ করেছে। মুমিনের পেছনে লেগে থাকাই তার আসল কাজ। মহান আল্লাহর সামনে মানবজাতিকে সত্যচ্যুত করার অঙ্গীকার করেছিল সে। আল্লাহ তাআলা বলেন— ‘আল্লাহ তাকে লানত করেন এবং সে বলে, আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী করে নেবো।’ (সুরা নিসা: ১১৮)

আল্লাহর কাছে শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল। সে প্রসঙ্গে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে (ইবলিস) বলল, হে আমার পালনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করে দেব। আপনার মনোনীত বান্দারা ছাড়া (তাদের কোনো ক্ষতি আমি করতে পারব না)।’ (সুরা হিজর: ৩৯-৪০)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: আল্লাহর কাছে শয়তানের ৪ আবেদন

আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে বলেন, ‘অবশ্যই যারা আমার বান্দা, তাদের ওপর তোমার কোনো ক্ষমতা নেই; কিন্তু পথভ্রান্তদের মধ্য থেকে যারা তোমার পথে চলে, তাদের সবার নির্ধারিত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম।’ (সুরা হিজর: ৪৩-৪৪)

শয়তান বিভিন্নভাবে মুমিন বান্দার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। যেমন—ধোঁকা ও প্ররোচনা দেওয়া, পথভ্রষ্ট করা,  মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেওয়া, মানবের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করা, পাপকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলা, ইবাদতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা ইত্যাদি।

শয়তান সম্পর্কে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেছেন এভাবে— ‘শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রুরূপেই গ্রহণ করো।’ (সুরা ফাতির: ৬)

শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচতে নানা উপায় ও দোয়ার শিক্ষা রয়েছে হাদিসে। এর মধ্যে উত্তম ও কার্যকর একটি উপায় হলো আল্লাহর নাম নেওয়া। যেমন- আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বনির রাজিম বলা। এতে করে শয়তান কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু কোনোভাবেই গালি দেওয়া উচিত নয়। অনেকে শয়তানকে গালমন্দ করে থাকে। এটি অনুচিত। হাদিসে এসেছে, গালি দিলে তার ক্ষমতা বেড়ে যায়। পক্ষান্তরে আল্লাহর নাম নিলে সে ছোট হতে থাকে। 

আরও পড়ুন: আয়াতুল কুরসির ফজিলত শিখিয়ে শয়তানের মুক্তির ঘটনা

আবু মালিহা (রহ.) বলেন, একজন সাহাবি আমাকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘একদিন আমি রাসুল (স.)-এর সঙ্গে একই উটের পিঠে আরোহণ করলাম। এমন সময় উট লাফালাফি করতে থাকলে আমি বললাম, শয়তানের সর্বনাশ হোক।’ তখন রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, ‘তুমি বলো না শয়তানের সর্বনাশ হোক! কেননা এমন বললে শয়তান আত্মগৌরবে ফুলে উঠে ঘরের সমান হয়ে যায় এবং বলতে থাকে আমি খুবই শক্তিমান। তুমি আল্লাহর নাম নেবে। কারণ এমন সময় যদি আল্লাহর নাম নেওয়া হয়, তবে সে আস্তে আস্তে ছোট হয়ে থাকে।’ (আবু দাউদ: ৪৯৮২)

অতএব, শয়তানের প্রবঞ্চনা থেকে বাঁচতে শয়তানের গালি না দিয়ে তাউজ পড়া উচিত। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর