সৌদি আরবের মদিনা মুনাওয়ারাকে বলা হয় ‘মদিনাতুন নবী’ বা নবীর শহর। এ নগরীর পরতে পরতে নবীজির স্মৃতি। হজের আগে-পরে মুসল্লিরা মসজিদে কুবা, উহুদ পাহাড়, খন্দক যুদ্ধে পরিখা খননের ইতিহাস, রহমতের স্তম্ভ, রিয়াজুল জান্নাত ইত্যাদি জায়গায় বাস্তবে সশরীরে ডুব দেন।
এখানে সবুজ গম্বুজের নিচে শায়িত দো-জাহানের মহান নেতা মুহাম্মদ (স.)। তাঁর পবিত্রতা ধারণ করে চিরধন্য মদিনা শহর। এখানকার মানুষগুলোই প্রায় দেড় হাজার বছর আগে নবীজিকে বরণ করতে ছুটে গিয়েছিলেন শহরের শেষ প্রান্তে। শিশুরা গেয়ে ওঠেছিল- তালায়াল বাদরু আলাইনা অর্থাৎ সূর্য উদিত হয়েছে আমাদের ওপর।
বিজ্ঞাপন
পৃথিবীর নানা প্রান্তে থাকা অনেকেই এখনো ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই পবিত্র মসজিদ দেখার সুযোগ পাননি। বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদি সরকার ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের ওয়েবসাইটে ভার্চ্যুয়ালি মসজিদে নববি ঘুরে দেখার সুযোগ চালু করেছে।
ঘরে বসে ভার্চ্যুয়ালি মসজিদে নববি ঘুরে দেখার জন্য এই ঠিকানার ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ভার্চ্যুয়ালি মসজিদে নববি দেখার সময় আজানসহ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শোনা যাবে। মসজিদে নববি প্রাঙ্গণে থাকা উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে ত্রিমাত্রিক ছবি দেখা যাবে এবং দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে আরবির পাশাপাশি ইংরেজি, ফরাসি ও স্প্যানিশ ভাষাতেও তথ্যগুলো পড়তে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন দিক দিয়ে প্রবেশের পর মসজিদে নববিতে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর পবিত্র রওজা মোবারকের সামনের ও পাশের অংশ দেখতে পাবেন ভার্চুয়াল ভ্রমণকারীরা। মসজিদে নববির বেশ কয়েকটি প্রবেশপথ বা গেট রয়েছে। যেকোনো গেট এর নাম নির্বাচন করে দিলে সেই পথে মসজিদে নববিতে প্রবেশ করা যাবে। পর্দার ওপরে মাঝখানে গেটগুলোর নাম দেওয়া আছে। ওখান থেকে গেট নির্বাচন করতে হবে। ভার্চুয়াল প্রযুক্তিতে আল সালাম গেট, জিবরাইল গেট, আবু বকর আল সিদ্দিক গেট, আল রহমাহ গেট, উমর ইবনে আল খাত্তাব গেট দিয়ে মসজিদে নববিতে প্রবেশ করা যাবে।
এছাড়াও দেখা যাবে পাঠাগার, গ্যালারি ও প্রদর্শনী কক্ষ। নবীজির তৈরি মসজিদের ওপরের অংশও দেখা যাবে। সবুজ মিনারের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি মসজিদে নববির মিনারও দেখা যাবে এই ভার্চুয়াল ভ্রমণে।
ভার্চ্যুয়ালি মসজিদে নববি দেখার সময় কম্পিউটার বা মুঠোফোনের পর্দার আকার ছোট বা বড় করে দেখা যাবে। শুধু তা–ই নয়, পর্দার ডান পাশে থাকা বিভিন্ন অপশন কাজে লাগিয়ে ছবিগুলো টুইটার ও ফেসবুকে শেয়ার করা যাবে।