দোয়া শব্দের অর্থ আল্লাহকে ডাকা, আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা। ইসলামে দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। হাদিস অনুযায়ী, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো কিছু নেই’ (ইবনে মাজাহ: ৩৮২৯)। মহানবী (স.) উম্মতদের অনেক দোয়া শিখিয়েছেন। তার মধ্যে একটি দোয়া এমন, যেটির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বরকত দান করেন।
উপার্জনে বরকতের দোয়া
হাদিসে বর্ণিত দোয়াটি হলো- اللهم اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عن حَرَامِكَ ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিক, ওয়াগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে আপনার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করুন। আর আপনাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করবেন না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করুন। (তিরমিজি: ৩৫৬৩; মুসনাদ আহমদ: ১৩২১)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পথভ্রষ্ট জীবন থেকে মুক্তির দোয়া
উপার্জনে বরকতের আমল
রিজিকে বরকতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো- তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা। আল্লাহ তাআলা মুত্তাকিদের রিজিকের পথ বের করে দেন। এ প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য নিষ্কৃতির পথ বের করে দেবেন এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিক দেবেন।’ (সুরা তালাক: ২-৩)
হাফেজ ইবনে কাসির (রহ.) এর তাফসিরে বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশাবলী পালন করে এবং তার নিষিদ্ধ কার্যাবলী থেকে বিরত থেকে তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য সব বিপদাপদ থেকে মুক্ত হওয়ার পথ করে দেবেন এবং যেখান থেকে সে রিজিক লাভ করার কথা স্বপ্নেও চিন্তা করে না; সেখান থেকে তাকে রিজিক দেবেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ৪/৪০০)
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও দান-সদকা মানুষের জীবনে বরকত নিয়ে আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি খরচ করো, তোমার জন্য খরচ করা হবে (অর্থাৎ প্রাচুর্য আসবে)।’ (সহিহ বুখারি: ৫৩৫২)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উপার্জনে বরকত দান করুন। উল্লেখিত দোয়া ও আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমিন।