আল্লাহভীতি শুধুমাত্র পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করে না, দুনিয়াতেও ইজ্জত লাভের উপায় এবং মহান প্রভুর কাছে সম্মানিত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে বেশি সম্মানী, যে আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে’ (সুরা হুজরাত: ১৩)। ‘এবং যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার সমস্যার সমাধান সহজ করে দেবেন’ (সুরা তালাক: ৪)।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, তার গুনাহ মুছে ফেলা হবে এবং তাকে পুরস্কৃত করা হবে।’ (সুরা তালাক: ৫)
মোত্তাকিদেরকে পৃথিবীতেও নানা পুরস্কার দেওয়া হয়। ‘যারা ঈমান এনেছে এবং আল্লাহভীরু হয়েছে, তাদের জন্য জাগতিক জীবনে রয়েছে সুসংবাদ’ (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)। আল্লাহভীরুদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো আল্লাহর ভালোবাসা। মুত্তাকিদের তিনি ভালোবাসেন। ইরশাদ হয়েছে—
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ খোদাভীরুদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুদ: ১১৩)
আর এসব বিষয় অনুধাবন করতে পারেন একমাত্র জ্ঞানীরা। তাই তারা মহান প্রভুকে ভয় করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন—
‘আর এমনিভাবে মানুষ, বিচরণশীল প্রাণী ও চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যেও রয়েছে নানা বর্ণ। বান্দাদের মধ্যে কেবল জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল। (সুরা ফাতির: ২৮)
শিক্ষিত হোক বা অশিক্ষিত, আল্লাহ যাকে দ্বিনের বুঝ দিয়েছেন, তিনি এসব বিষয় অন্তর থেকে উপলব্ধি করতে পারেন। কোরআন অনুযায়ী, ওসব লোক জ্ঞানী নয়, যারা আল্লাহর রহমত ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত থাকার মতো কাজ করে।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই এর পূর্বে যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাদের কাছে যখন এটা পাঠ করা হয়, তখন তারা সিজদাবনত হয়ে লুটিয়ে পড়ে। আর তারা বলে, ‘পবিত্র মহান আমাদের রব! আমাদের রবের ওয়াদা অবশ্যই কার্যকর হয়ে থাকে’। ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে লুটিয়ে পড়ে এবং এটা তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে।’ (সূরা বানী ইসরাঈল: ১০৭-১০৯)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেকের অন্তরে আল্লাহভীতি দান করুন। আমিন।

