বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা ডাকা কি নাজায়েজ?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা ডাকা কি নাজায়েজ?

বিয়ের পর দুটি নতুন পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্কে যুক্ত হন স্বামী-স্ত্রী। দুঃখজনক হলেও সত্য, নতুন দুই পরিবার অনেক সময় সুন্দর সম্পর্ক গড়তে পারে না। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি—সবাই যদি এক্ষেত্রে সুন্নতের অনুসরণ করেন, তাহলে দুই পরিবারে সুখ-শান্তির সীমা থাকে না। সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে অনেকে জানতে চান, শ্বশুরকে বাবা এবং শাশুড়িকে মা ডাকায় শরিয়তে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অনেক আলেমকে দেখা যায়, ইলমের খেয়ানত করে থাকেন। তারা দলিল হিসেবে সহিহ বুখারির একটি হাদিস উপস্থাপন করেন। যেখানে সাদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছি, যে অন্যকে নিজের পিতা বলে দাবি করে অথচ সে জানে যে সে তার পিতা নয়, জান্নাত তার জন্য হারাম।’ (সহিহ বুখারি: ৬৭৬৬)


বিজ্ঞাপন


এ হাদিসে অন্যকে বাবা ডাকতে নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো, নিজের বাবার বংশ পরিচয় গোপন রেখে অন্যের বংশ পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত না করা। (উমদাতুল কারি শরহু সহিহিল বুখারি: ২৩/২৬২)

আরও পড়ুন: ‘নেককার স্ত্রী’ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ

কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়িকে সাধারণত এই উদ্দেশ্যে বাবা-মা ডাকা হয় না। বরং সম্মানার্থে তাদেরকে বাবা-মা ডাকা হয়। আর সম্মানার্থে কাউকে বাবা-মা ডাকার বৈধতা কোরআন থেকেই প্রমাণিত। পবিত্র কোরআনে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর স্ত্রীদের সম্মানার্থে তাঁদেরকে মুমিনদের মা বলে সম্বোধন করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তার স্ত্রীগণ তাদের মা।’ (সুরা আহজাব: ৬)

আরও পড়ুন: স্বামী কতদিন স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকতে পারবে?


বিজ্ঞাপন


সুতরাং শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা ডাকার বিষয়টি উক্ত হাদিসের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না। তাই শ্বশুর-শাশুড়িকে সম্মানার্থে বাবা-মা ডাকাতে শরিয়তে নিষেধাজ্ঞা নেই। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর দাম্পত্য জীবন সুন্দর ও মজবুত করে দিন। সম্পর্কোন্নয়নে বৈধ আকাঙ্ক্ষা ও চেষ্টাগুলোর উত্তম বিনিময় দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর