কখনো কি ভেবেছেন, এমন কোনো স্থান আছে যেখানে পা রাখলেই স্বয়ং আল্লাহ আপনার জন্য জান্নাতে বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন? ইসলাম এমনই এক স্থানের সন্ধান দেয়, যার প্রতিটি যাত্রা মহান প্রতিদানের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
হজরত আবূ হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে গমন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে আপ্যায়ন সামগ্রী প্রস্তুত করেন। সে যতবার মসজিদে যায়, আল্লাহও তার জন্য ততবার আতিথেয়তার সামগ্রী প্রস্তুত করেন।’ (সহিহ বুখারি: ৬৬২)
বিজ্ঞাপন
এই হাদিসটি সেই রহস্যেরই উত্তর। সেই স্থানটি হলো মসজিদ।
আরও পড়ুন: ঘরে অজু করে মসজিদে গেলে বিশেষ ৬ ফজিলত
কেন এই আয়োজন শুধু মসজিদগামীদের জন্য?
১. সাক্ষাতের স্থান
মসজিদ হল আল্লাহর ডাকের সাড়া পাওয়ার স্থান। সেখানে যাওয়া মানে তাঁর প্রতি ভালোবাসার কার্যকর প্রকাশ এবং এর জবাবেই তিনি নিজে আতিথেয়তার ব্যবস্থা করেন।
বিজ্ঞাপন
২. ঈমানের চার্জিং স্টেশন
দিনব্যাপী ব্যস্ততার মধ্যে ঈমান দুর্বল হয়ে গেলে মসজিদে কয়েক মুহূর্ত কাটানো তা পুনরুজ্জীবিত করার অন্যতম শক্তিশালী উপায়। এখানে নামাজ, দোয়া এবং জিকিরের মাধ্যমে হৃদয়কে আল্লাহর সান্নিধ্যে ফেরানো যায়।
৩. সম্পর্কের বন্ধন
মসজিদ মুমিনদের একত্রিত করে। সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে তারা ভ্রাতৃত্বের অনন্য উদাহরণ স্থাপন করে, একে অপরের জন্য প্রেরণা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে, যা আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন: নামাজের পর মসজিদে একটুখানি বসার বিস্ময়কর ফজিলত
৪. চিরস্থায়ী বিনিয়োগ
দুনিয়ার কোনো অর্জন চিরস্থায়ী নয়। কিন্তু মসজিদের প্রতিটি পদক্ষেপ জান্নাতে এক অমর পুরস্কারের ইঙ্গিত বহন করে। প্রতিটি নামাজ, প্রতিটি যাত্রা, প্রতিটি আমল—সব চিরস্থায়ী সঞ্চয়।
৫. আল্লাহর আতিথেয়তার উপযুক্ত আমল
এই আয়োজনের অর্থ হলো- আপনার কাজে আল্লাহ খুশি হয়ে নিজেই আপনাকে বিশেষভাবে সম্মানিত করবেন। এটি একজন বান্দার জন্য এক অবিশ্বাস্য প্রতিদান।
আপনার পদক্ষেপ
জান্নাতের সেই বিশেষ আয়োজনের অতিথি হতে চাইলে আপনার স্থানীয় মসজিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। ফজর ও আছরসহ প্রত্যেক নামাজের জামাতে অংশ নিন। এই পবিত্র স্থানটিকেই আপনার আত্মার প্রশান্তি ও ঈমানের শক্তির কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করুন।
মনে রাখুন, প্রতিটি পদক্ষেপ আপনার জন্য জান্নাতের এক বিশেষ আপ্যায়নের প্রস্তুতি। আল্লাহর বিশেষ মেহমানের তালিকায় নাম ওঠানোর এই সোনালি সুযোগ হাতছাড়া করা বোকামি।

