শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৩ মুহূর্তে আয়াতুল কুরসি: জীবন বদলে দেবে!

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

৩ মুহূর্তে আয়াতুল কুরসি: জীবন বদলে দেবে!

পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি। এ আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদ, মহিমা ও গুণাবলির বিস্তারিত বর্ণনা থাকায় এটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। যেকোনো সময় এ আয়াত পাঠ করা সওয়াবের কাজ হলেও হাদিসে বর্ণিত তিনটি সময়ে পাঠ করলে বিশেষ ফায়দা ও সুরক্ষা লাভ করা যায়।

১. ফরজ নামাজের পর

আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করে, তার জান্নাতে প্রবেশের মাঝে মৃত্যু ছাড়া কোনো অন্তরায় থাকবে না।’ (সুনানে নাসাঈ: ৯৪৪৮)

আরও পড়ুন: ফজর নামাজের ১০ পুরস্কার

২. ঘুমানোর আগে

আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, নবীজি (স.) বলেছেন, ‘যখন তুমি শয্যাগ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার জন্য একজন রক্ষী নিযুক্ত হবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার নিকটবর্তী হতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি: ৫০১০)


বিজ্ঞাপন


৩. সকাল-সন্ধ্যায়

উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি সকালবেলা আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বিনের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষিত থাকবে। আর যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে, সে সকাল পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ১/৭৪৯)

বিশেষ দিক: ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে একসাথে নামাজ-পরবর্তী ও সকাল-সন্ধ্যার সওয়াব উভয়টিই অর্জন করা যায়।

আরও পড়ুন: যে ৫টি আমল প্রতিদিন ১০০ বার করবেন

আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

আরবি
اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারণ
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা'খুযুহু সিনাতুঁ ওয়া লা নাওম। লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়া মা ফিল আরদ। মান যাল্লাজি ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহ। ইয়া'লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়া মা খালফাহুম, ওয়া লা ইউহিতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা। ওয়াসিয়া কুরসিইয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়া লা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা, ওয়া হুওয়াল আলিয়্যুল আজিম।

আরও পড়ুন: সারাদিন ৬ জিকিরের অবিশ্বাস্য ফজিলত

অর্থ
আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রা বা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে সেই ব্যক্তি, যে তাঁর কাছে সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা কিছু তাদের সামনে আছে ও যা কিছু তাদের পেছনে আছে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুই আয়ত্ব করতে পারে না, তিনি যা ইচ্ছা করেন তা ছাড়া। তাঁর কুরসি আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে আছে এবং সেগুলোকে রক্ষা করা তাঁর জন্য কঠিন নয়। আর তিনি সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ।

সারসংক্ষেপ: আয়াতুল কুরসি পড়ার এই তিন সময়ের আমল মুমিনের জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত, সুরক্ষা ও জান্নাত লাভের সহজ একটি পথ। নিয়মিত এ আমল করলে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে সফলতা মিলবে ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর