করোনার সময় হিফজ শুরু করে মাত্র কয়েক মাসে পবিত্র কোরআন বুকে ধারণ করেছে সাত বছর পাঁচ মাস বয়সী আমাতুল্লাহ ওয়ারদা।
এর আগে আমাতুল্লাহর বোন যাহ্রা-ই-বেহেশতী পবিত্র মদিনায় আট বছর বয়সে ৮ মাসের কম সময়ে হিফজ সম্পন্ন করেছিল। আশ্চর্যজনকভাবে ওয়ারদার মাও মদিনা মুনাওয়ারায় মাত্র ৪ মাসে কোরআন হিফজ করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ওয়ারদার বাবা বিশিষ্ট আলেম ও গবেষক মাওলানা যাকারিয়্যা মাহমুদ আল-মাদানী। তিনি রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত মানাহিল মডেল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষণা করছেন তিনি।
ওয়ারদার কোরআন হিফজের আনন্দে তিনি আপ্লুত। বলেন, মহামহিম দয়াময় আল্লাহ তাআলার অপার অনুগ্রহ যে, তিনি অত্যন্ত করুণা করে আমার ছোট মেয়েকে কোরআনুল কারিম অন্তরে ধারণ করার তাওফিক দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আজ সে হিফজুল কোরআনের শেষ সবক শুনিয়েছে।
মাওলানা যাকারিয়্যা বলেন, এ এমন প্রাপ্তি, যার তুলনা হয় না। এমন অনুভূতি, যা প্রকাশ করা যায় না। এমন প্রশান্তি, যা বুঝানো যায় না। চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি! যেমন পারিনি আমার বড় মেয়ে ও তার মায়ের হিফজের পরও।
জীবনের যেকোনো প্রাপ্তি ও সফলতার চেয়ে এই প্রাপ্তি অনেক বড় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোরআন হিফজ করা অনেক সুখের ও সম্মানের।
এর পেছনে ওয়ারদার মায়ের ভূমিকা স্মরণ করে তিনি বলেন, মেয়েদের পেছনে আঠার মতো লেগেছিল সে। তার অবদান অনস্বীকার্য। মূলত সে-ই মেয়েদের শিক্ষিকা। আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম বিনিময় দান করুন।
সবার কাছে দোয়া কামনা করি, আমার স্ত্রী ও মেয়েদের সম্মান-সাফল্যের ধারা যেন অব্যাহত থাকে। তারা যেন ইলম-আমল ও আখলাকের আঁকর হয়। সর্বোপরি মহান আল্লাহ যেন তাদের দ্বিনের সেবক হিসেবে কবুল করেন। আমিন।

