সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটালেন হাজিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২৫, ০৮:১২ এএম

শেয়ার করুন:

hajj
খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান লাখ লাখ হাজি। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান শেষে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজিরা। ১৬ লাখের বেশি হাজি একযোগে সেখানে রাত কাটান। এবার তারা মিনায় ফিরে যাবেন। সেখানে ব্যস্ততম দিন কাটবে হাজিদের।

আজ শুক্রবার (৬ জুন) সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। তবে হাজিরা ব্যস্ত থাকবেন নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে। বাদ ফজর মুজদালিফা থেকে হাজিরা চলে যাবেন মিনায়। মুজদালিফা থেকে তারা যে কংকর সংগ্রহ করেছেন সেগুলো জামারাতে প্রতীকী শয়তানের ওপর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা।


বিজ্ঞাপন


আজই মিনায় কোরবানির পশু জবাইয়ের বিধান রয়েছে। যারা সৌদি সরকারের ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করেন, তারা এসএমএসের মাধ্যমে কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার বার্তা পান। সেই বার্তা পাওয়ার আগে চুল কেটে হালাল হওয়া যাবে না। তবে অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কোরবানি সম্পন্ন করেন।

Mujdalifa1

কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার পর হাজিরা চুল কেটে ফেলতে পারেন এবং সাধারণ কাপড় পরে যেতে পারেন কাবাঘর তওয়াফ করতে। এই তওয়াফ ও সাঈ ফরজ, যা হজের অন্যতম অপরিহার্য করণীয়।

আজকের আনুষ্ঠানিকতার পর হজের মূল কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরাতে সাতটি করে ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে প্রতিদিন। তবে যদি কেউ কঙ্কর নিক্ষেপের আগে কিংবা পরে কাবা শরিফ গিয়ে তাওয়াফ করেন, তাহলে তাকে তাওয়াফের পর আবার মিনায় চলে আসতে হবে এবং রাতে মিনায় অবস্থান করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

এবার কত মুসলিম হজ করলেন জানালো সৌদি কর্তৃপক্ষ

হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের মুক্তি ও বিশ্ব মুসলিমের সমৃদ্ধি কামনা

১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় রাত্রযাপন করতে হয়। কেউ মিনা ত্যাগ করতে চাইলে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগেই চলে যেতে হবে। এ সময়ের মধ্যে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে ১৩ জিলহজ মিনায় অবস্থান করতে হবে। সেদিন সাতটি করে আরও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে।

১৩ জিলহজের পর হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যায়। তবে মক্কা ছেড়ে দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে তাওয়াফ করতে হয়, যাকে বিদায়ি তাওয়াফ বলে।

Mujdalifa3

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পবিত্র আরাফাতের ময়দানে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সময় বেলা ১২টার পর (বাংলাদেশ সময় তিনটার পর) ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরায় ১৪৪৬ হিজরি সনের হজের খুতবা দেন সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম ও বিচারবিদ শায়খ ড. সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ। এবারের হজের খুতবার অনুবাদ বাংলাসহ বিশ্বের ৩৫টি ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

এবার ১৬ লাখের বেশি মুসলিম হজ পালন করছেন। এর মধ্যে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ নিবন্ধিত হাজি ছিলেন এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৪ জন এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজির সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ছয় হাজার ৫৭৬ জন। পুরুষ হাজির সংখ্যা ছিল আট লাখ ৭৭ হাজার ৮৪১ জন। নারী হাজির সংখ্যা ছিল সাত লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৯ জন।

এই হাজিদের মধ্যে বিমানে সৌদি আরবে গমন করেছেন ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৭ জন। নৌপথে সৌদিতে এসেছেন পাঁচ হাজার ৯৪ জন। মাইক্রো, কার ও এ জাতীয় পরিবহনে হজ করতে গেছেন ৬৬ হাজার ৪৬৫ জন হজযাত্রী।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর