কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। নামাজে ইমামেরও ভুল হতে পারে। যেমন রাকাতসংখ্যায় ভুল হওয়া স্বাভাবিক। তখন মুসল্লিদের কর্তব্য হলো- লোকমা দিয়ে শুধরে দেওয়া। অর্থাৎ ইমামকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে, তার ভুল হচ্ছে।
নামাজে ইমাম ভুল করলে মুক্তাদির করণীয়
এক্ষেত্রে মুক্তাদিরা সাধারণত আল্লাহু আকবর বলার প্রচলন রয়েছে আমাদের সমাজে। যদিও সঠিক নিয়ম হলো সুবহানাল্লাহ বলা। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে - إِذَا رَابَكُمْ أَمْرٌ، فَلْيُسَبِّحِ الرِّجَالُ، وَلْيُصَفِّحِ النِّسَاءُ ‘নামাজে যখন তোমাদের কোনো সংশয় হয়, তখন পুরুষরা যেন সুবহানাল্লাহ বলে ইমামকে সতর্ক করে আর নারীরা (হাতের পিঠে) তালি বাজায়। (সহিহ বুখারি: ৭১৯০)
আরেক হাদিসে এসেছে- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قال قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ، وَالتَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ ‘পুরুষদের জন্য তাসবিহ এবং নারীদের জন্য হাততালি।’ (তিরমিজি: ৩৬৯; ইবনে মাজাহ: ১০৩৪)
আরও পড়ুন: নামাজে সচরাচর ৫টি মারাত্মক ভুল
ইমামের ভুলে মুক্তাদির সুবহানাল্লাহ বলা উত্তম
উক্ত হাদিসগুলোতে পুরুষদের তাসবিহ পাঠের মাধ্যমে ইমামের ভুল শুধরে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তাই সুবহানাল্লাহ বলাই উত্তম। যুক্তির বিচারেও ইমামের ভুলে মুক্তাদির সুবহানাল্লাহ (আল্লাহ সব দোষত্রুটি থেকে মুক্ত) বলাই অধিক যৌক্তিক।
ইমামের ভুলে মুক্তাদি আল্লাহু আকবর বললেও সমস্যা নেই
তবে, ইমামের ভুল শোধরাতে অভ্যাসগতভাবে মুক্তাদিরা আল্লাহু আকবরও বলতে পারেন। এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ আল্লাহু আকবর, আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু তাসবিহ এর অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া আল্লাহু আকবর শুনলেই ইমাম যেহেতু বুঝে নেন যে, তার ভুল হয়েছে। তাই এ শব্দ প্রয়োগকে ভুল বিবেচনা করা যাবে না।
আরও পড়ুন: মুনাফিকের কাছে ভারী দুই নামাজ
আর কেরাতে ভুল হলে মুক্তাদিদের কেউ শুদ্ধভাবে পড়ে ইমামকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া নিয়ম। (আহকামে জিন্দেগি: ২১৫) আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সব আমল সহিহ পদ্ধতিতে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

