রোজা রাখা অবস্থায় বিভিন্ন কারণে অজ্ঞান বা বেহুশ হওয়ার ঘটনা অনেক। এ অবস্থায় রোজা কি হবে? নাকি রোজা ভেঙে যাবে? এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, রোজা রাখা অবস্থায় অজ্ঞান বা বেহুঁশ হয়ে গেলে রোজা ভাঙবে না, যতক্ষণ না সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার করে।
তবে, অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার বা অতিরিক্ত দুর্বল হওয়ার আশংকায় পানাহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। ওই রোজা পরে কাজা আদায় করতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না।
বিজ্ঞাপন
জ্ঞান ফিরলে বা হুঁশ ফিরে এলে এরপর দুর্বল বা অসুস্থ হওয়ার আশংকা না থাকলে রোজা ভেঙে দেওয়া যাবে না। হজরত নাফে (রহ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) নফল রোজা অবস্থায় বেহুশ হয়ে যান কিন্তু এ কারণে রোজা ভাঙ্গেননি। (সুনানে কুবরা, বাইহাকি: ৪/২৩৫; আলমুহিতুল বুরহানি: ৩/৩৬৮; মাবসুত, সারাখসি: ৩/৮৮)
আরও পড়ুন: যেসব কারণে রোজা ভাঙলে কাফফারা দিতে হয় না
রমজানের রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত অশেষ। আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজার প্রতিদান আমি নিজেই দেবো, কেননা তা একমাত্র আমার জন্য। আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। পানাহার পরিত্যাগ করেছে। (মুসলিম: ১১৫১, মুসনাদে আহমদ: ৯৭১৪, সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৬৩৮)
সামান্য কারণে বা শরিয়ত অনুমোদিত ওজর ছাড়া রোজা না রাখা ও ভেঙে ফেলা নাজায়েজ। একটি রোজা মিস হয়ে গেলে সারা জীবনেও ওই রোজার ঘাটতি পূরণ হবে না। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শরয়ি কোনো ওজর ছাড়া রমজানের কোনো রোজা ভেঙ্গে ফেলবে, সারাজীবন রোজা রাখলেও সেই রমজানের রোজার সমপরিমাণ হবে না।’ (সহিহ বুখারি, শামেলা-৩/৪৩)