মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

ঘোড়ার মাংস খাওয়া কি জায়েজ?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

‌ঘোড়ার মাংস খাওয়া কি জা‌য়েজ?

ইসলামে ঘোড়ার গোশত খাওয়া নিয়ে আলেমদের মতপার্থক্য রয়েছে। কেননা রাসুলুল্লাহ (স.)-এর হাদিসে এ ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়। এক হাদিসে হজরত জাবের (রা.) বলেন, ‘খায়বারের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (স.) গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।’ (বুখারি: ৫৫২০)

এই হাদিসে রাসুল (স.) ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এর মানে হলো- আগে অনুমতি ছিল না। শুধু যুদ্ধের সময় খাবারের প্রয়োজনে এই সুযোগ দেওয়া হয়। হ্যাঁ, ঘোড়ার গোশত নিষেদ্ধের ব্যাপারেও হাদিস রয়েছে। হজরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) ঘোড়ার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।’ (নাসায়ি: ৮/২০৬, আবু দাউদ: ২/৫৩১)


বিজ্ঞাপন


এই দুই হাদিস থেকেই মূলত ঘোড়ার গোশত খাওয়া নিয়ে আলেমদের মতবিরোধ। দুই হাদিসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেউ ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে বৈধ বলেছেন, আবার কেউ বলেছেন অবৈধ। 

আরও পড়ুন: উটের গোশত খেলে কি অজু ভেঙে যায়?

কিন্তু হাদিসশাস্ত্রের মূলনীতি হলো- যে বিষয়ের বৈধতা ও অবৈধতার ক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়, সে বিষয়ে বিধান হিসেবে অবৈধতার দিক গ্রহণ করা হয়। কেননা এটাই সতর্কতা। তাছাড়া ফিকহশাস্ত্রের কিতাবে ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরুহ বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- ঘোড়া জিহাদের কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই ব্যাপকহারে খাওয়া শুরু করলে জিহাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। 

আরও পড়ুন: যেসব কারণে হালাল প্রাণীর গোশত হারাম হয়ে যায়


বিজ্ঞাপন


বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে যদিও ব্যাপকভাবে ঘোড়ার ব্যবহার হয় না; কিন্তু তা একেবারে বন্ধও হয়ে যায়নি। প্রতিরক্ষা বিভাগগুলোতে ঘোড়ার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং নিয়মিত তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

সুতরাং জিহাদের কাজে ঘোড়ার ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়ে গেলেও তা খাওয়া উপরোক্ত হাদিসের কারণে মাকরুহ (তানজিহি) থাকবে।

(আহকামুল কোরআন লিল জাসসাস: ৩/১৮৩, ১৮৪; উমদাতুল কারি: ১৭/২৪৮; বাজলুল মাজহদ: ১৬/১১৩; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৪৯; ইলাউস সুনান: ১৭/১৪৩; ফাতহুল কাদির: ৮/৪১৯; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলালমারাকি: ১৭; ফতায়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/২৯)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর