শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

ইফতারের সময় দরিদ্র প্রতিবেশীর কথা ভুলে যাবেন না

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০২:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ইফতারের সময় দরিদ্র প্রতিবেশীর কথা ভুলে যাবেন না

প্রখ্যাত ইসলামি আলোচক ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, রোজাদারের অন্যতম আনন্দের মুহূর্ত ইফতার। আমরা যারা সামর্থ্যবান, প্রতিদিন হরেক রকমের মজাদার ইফতার করছি। কিন্তু ঘরের পাশের দরিদ্র মানুষটার খোঁজ কি একবারও নিয়েছি? দরিদ্র মানুষকে ইফতার করানো রমজানের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। 

নিজের ফেসবুক পেজে এ সম্পর্কে তিনি আরও লেখেন, এটা (ইফতার বিতরণ) শুধু ইবাদতই নয়, এটা আত্মপ্রশান্তিরও কারণ। তাই, এই রমজানে প্রতিবেশীর ঘরে দশ দিন, বিশ দিন কিংবা এক মাসের ইফতার কিনে পাঠাতে পারি। ধরুন, আপনার এলাকার বস্তিতে একজন রিকশাচালক থাকেন। রমজানে তিনি পরিবার নিয়ে সীমাহীন দুশ্চিন্তায় আছেন। তার ছোট ছোট সন্তানেরা মজাদার ইফতার খাওয়ার বায়না ধরেছে। কিন্তু কয়েক পদের ইফতার কেনার সামর্থ্য রিকশাচালক ভাইটির নেই। সন্তানদের সামনে তিনি পরাজিত মুখ করে মন খারাপ করে বসে আছেন। 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: মানুষকে ইফতার করানোর ফজিলত

‘এমন সময় আপনি ব্যাগ ভরতি ইফতার নিয়ে তার বাড়িতে উপস্থিত হলেন। কল্পনা করুন, ঠিক সেই মুহূর্তে ওই বাড়িটির অবস্থা কেমন হবে! আপনার এক ব্যাগ বাজারের মাধ্যমে ওই বাড়িতে সুখের জান্নাত রচিত হবে।’

ইফতারের পাশাপাশি সাহরি বিতরণের গুরুত্ব তুলে ধরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আবার আমরা অনেকেই দরিদ্রদেরকে ইফতার কিনে দিই; কিন্তু সাহরির খবর রাখি না। অথচ রোজার শক্তি সঞ্চয়ের জন্য পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সাহরিও জরুরি। যখন বাজারে যাবেন, শুধু দরদামে ব্যস্ত না থেকে আশপাশে একটু চোখ রাখুন। দুর্মূল্যের কারণে হঠাৎ গরিব হয়ে যাওয়া অনেক সম্ভ্রান্ত মানুষ পেয়ে যাবেন, একটা মাছের দিকে তারা করুণ চোখে চেয়ে আছে। তাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই। 

আরও পড়ুন: রমজানে যেসব গুনাহ ভুলেও করবেন না


বিজ্ঞাপন


‘সম্ভব হলে বিনয়াবত মুচকি হেসে তার মাছটা কিনে দিন। এতে আপনার কিছু পয়সা খরচ হবে বটে, কিন্তু অপার্থিব এক মানসিক প্রশান্তিতে ভরে উঠবে আপনার বুক। কারণ, নিজের খাবারের একাংশ অনাহারীর মুখে বিলিয়ে দেয়ার মাঝে যে অপার্থিব সুখ, সেই সুখ বন্ধ দরজায় একলা ভোগের মাধ্যমে কখনোই অর্জিত হয় না।’

আপনার সহযোগিতায় যদি কষ্টে থাকা রোজাদারের মুখে হাসি ফোটে, আশা করা যায় মহান আল্লাহও আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন। কারণ হাদিসে এসেছে, রাসুল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো দুস্থের অভাব দূর করবে, মহান আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুরবস্থা দূর করবেন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর