জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, যারা এতিমের সম্পদ মেরে খায় তারা মূলত জাহান্নামের আগুন খায়। তিনি বলেন, এতিমদের প্রতি ভালো আচরণ করতে হবে। তাদের প্রতি কখনো কঠোর হবেন না। রাসুল (স.) নিজেও এতিম ছিলেন। তিনি বলেছেন, এতিমদের আদর-স্নেহ করা মানে আমাকেই সম্মান করা। হাতের দুই আঙুলের মাঝখানে যে পরিমাণ ফাঁকা আছে জান্নাতে আমার বাড়ির সাথে তাদের বাড়ির দূরত্ব হবে ততটুকুই।
রোববার (২ মার্চ) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ মুসলিম কমিউনিটি আয়োজিত ‘রমাডান অ্যান্ড কোরআনিক রিফ্লেকশন’ কনফারেন্সে আজহারী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রাসুল (স.)-এর প্রতি আল্লাহ পাক কিছু কর্মসূচি দিয়েছিলেন এর প্রথমটি হচ্ছে, এতিমের প্রতি কঠোর হবেন না, যে সাহায্য চাইতে আসে তাকে কখনোই ধমক দিবেন না, আল্লাহ পাক আপনাকে যে অসীম নেয়ামত দিয়েছেন তার বর্ননা করুন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ‘এক নজরে কুরআন’ নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা, ব্যাখ্যা দিলেন আজহারী
কুয়ালালামপুরের কোরাস হোটেলে অনুষ্ঠিত ইসলামি কনফারেন্স আজহারী এক পর্যায়ে তাকবির ধ্বনির প্রশংসা করে বলেন, আপনারা দেখেছেন ভারতে কিছু সন্ত্রাসী জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছিল মুসলিম নারী মুসকানকে লক্ষ্য করে। তখন মুসকানের আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে সারা বিশ্ব প্রকম্পিত হয়েছিল। রাসুল (স.) যখন গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন তখন তিনি ইয়া ওম্মাতি ইয়া ওম্মাতি, আমার ওম্মতকে বাঁচাও জিকির করছিলেন তখন জিবরাইল (আ.) আল্লাহর বানী রাসুল (স.)-কে শুনিয়ে দিলেন, হে রাসূল মহান আল্লাহ আপনাকে শ্রীঘ্রই এত পরিমাণ নিয়ামত দান করবেন যে আপনি খুশি হয়ে যাবেন। প্রিয় রাসুল (স.) মায়ের পেটে ৬ মাস বয়সের সময় তিনি পিতা আবদুল্লাহকে হারান। তারপর ভুমিষ্ট হবার পর মাতা আমিনাও চলে গেলেন। বিশ্বনবী এতিম হয়ে হালিমা, দাদা ও সর্বশেষ চাচার কাছে বড় হতে লাগলেন।
আলোচনা শেষে প্রবাসী ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করে প্রবাসীদের সঙ্গে ইফতার করেন ড. আজহারী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটি মালয়েশিয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম তুলে ধরেন সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন। তিনি সবার দোয়া চান যেন বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটি মালয়েশিয়া আরও বড় পরিসরে মানবতার খেদমত করতে পারে।