সবসময় সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাহায্য চাইলে কিছু আমল গুরুত্বসহকারে করা উচিত। যেসব আমল করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার সঙ্গে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের আলোকে সেই আমলগুলোর কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো—
প্রকৃত মুমিনের গুণাবলী ধারণ করা
প্রকৃত মুমিনের মৌলিক গুণাবলী হলো- যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর অগাধ বিশ্বাস রাখে, কেয়ামতের দিনের ওপর বিশ্বাস রাখে, নামাজ কায়েম করে, রমজানের রোজা রাখে, জাকাত প্রদান করে, হজ আদায় করে, যারা অপর মুসলমানের ক্ষতি করে না এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায় এবং তাঁর ওপরই ভরসা করে। পবিত্র কোরআনে তাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা আনফাল: ১৯)
বিজ্ঞাপন
তাকওয়া ও দয়াশীলতা
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন, যারা তাকওয়া অবলম্বনকারী ও অনুগ্রহকারী।’ (সুরা নাহল: ১২৮)
আল্লাহর ওপর ভরসা করা
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।’ (সুরা তালাক: ২-৩)
আরও পড়ুন: যে পাপ করলে তাকওয়া হারিয়ে যাবে
যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরা
বান্দা যখন বিপদে ধৈর্য ধরে আর আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়, তখন আল্লাহ তার বিপদ দূর করার দায়িত্ব নিয়ে নেন। তার জন্য বিপদ থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩)
বিজ্ঞাপন
ঈমানের দাওয়াত দেওয়া
যারা মানুষের দারে দারে ঈমানের দাওয়াত নিয়ে যায়। মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করে আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। আল্লাহ মুসা ও হারুন (আ.)-কে ফেরাউনের কাছে দ্বিনি দাওয়াত নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁদের অভয় দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি ও দেখি।’ (সুরা ত্বহা: ৪৬)
উল্লিখিত গুণাবলী ও আমলের কারণে বান্দা আল্লাহর বিশেষ সাহায্য লাভ করে থাকে। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।