আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন খুব সুন্দরভাবে। আল্লাহর কুদরতি হাতে তৈরি চমৎকার মানবাকৃতির অভ্যন্তরে রয়েছে অনেক গাঁথুনি। নিখুঁত ও আশ্চর্যজনক সব গাঁথুনি বা জোড়া উপযুক্ত জায়গায় যথাযথভাবে সেট করা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় ও প্রত্যাশিত কাজে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে নাড়াচাড়া করা সম্ভব হতো না।
তাই এসব সুনিপুন জোড়াগুলোর হক বা সদকা আদায় করা বান্দার কর্তব্য। হাদিসে এসেছে, প্রত্যেক সূর্যোদয়ে (অর্থাৎ প্রতিদিন) অন্তত একবার এসব জোড়ার সদকা আদায় করতে হবে। (দ্র. সহিহ বুখারি: ২৯৮৯)
বিজ্ঞাপন
মহানবী (স.)-এর হাদিসে এমন কিছু নেক আমলের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে শরীরের সদকা আদায় হয়। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো।
১. ভালো কথা বলা। (সহিহ বুখারি: ২৯৮৯)
২. রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়া। (তিরমিজি: ১৯৫৬)
৩. দুজনের মধ্যে সুবিচার করে দেওয়া। (সহিহ বুখারি: ২৯৮৯)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কেমন ন্যায়বিচারের কথা বলে ইসলাম
৪. সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবর একেকটি সদকা। (সহিহ মুসলিম: ১৭০৪)
৫. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলাও সদকা। (সহিহ মুসলিম: ১৭০৪)
৬. কাউকে সওয়ারিতে উঠতে বা বোঝা উঠাতে সাহায্য করা। (সহিহ বুখারি: ২৯৮৯)
৭. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষধ করা। (সহিহ মুসলিম: ১৭০৪)
৮. নামাজের উদ্দেশে প্রতিটি কদম। (সহিহ বুখারি: ২৯৮৯)
৯. চাশতের দুরাকাত নামাজ শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সদকার জন্য যথেষ্ট। (সহিহ মুসলিম: ১৭০৪)
১০. হাসিমুখে কথা বলা। (তিরমিজি: ১৯৫৬)
১১. পরিবারের জন্য খরচ করা। (সহিহ বুখারি: ৪০০৬)
আরও পড়ুন: পরিবারের জন্য খরচ করলেই সদকা
১২. পানির ব্যবস্থা করা। (আদাবুল মুফরাদ: ৪২২)
১৩. মসজিদ থেকে থুতু (অপরিষ্কার যেকোনোকিছু) সরানো। (আবু দাউদ: ৫২২২)
১৪. পথহারাকে রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া। (জামে তিরমিজি: ১৯৫৬)
১৫. সাহায্যপ্রার্থীর দুঃখ দূর করা। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৭১)
১৬. রাগ নিয়ন্ত্রণ করা। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৭১)
১৭. মুসলিম ভাইকে যেকোনো সাহায্য করা সদকা। (আদাবুল মুফরাদ: ৪২২)
১৮. সব নেক কাজকেই সদকা বলা হয়েছে এক বর্ণনায়। (সহিহ বুখারি: ৬০২১)