সালাম ইসলামি অভিভাবদন। একইসঙ্গে সালাম একটি দোয়াও বটে। দেখা-সাক্ষাতে সালামের আদান-প্রদানের মাধ্যমে এক মুসলমান অপর মুসলমানের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা ও কল্যাণের দোয়া করে। পারস্পরিক হৃদ্যতা-অন্তরঙ্গতা, সুসম্প্রীতি ও সৌহার্দ সৃষ্টিতে সালাম অপেক্ষা উৎকৃষ্ট কোনো অভিভাদন নেই। অধিকন্তু সালাম প্রদানকারী ও সালামের জবাব দানকারী প্রত্যেকে নিজের পক্ষ থেকে অপরজনের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
সালাম দেওয়া সুন্নত এবং সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। তাই সালাম সুন্দর ও শুদ্ধভাবে দেওয়া উচিত। অর্থাৎ শুদ্ধ উচ্চারণে স্পষ্টভাবে সালাম দিতে হবে। এরপরও কেউ যদি অশুদ্ধ উচ্চারণে সালাম দেয় তবুও সালামের জবাব দিতে হবে। (হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাদ্দুর: ৪/২০৭; হিন্দিয়া: ৫/৩২৫; রদ্দুল মুহতার: ৬/৪১৬)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ভিক্ষুকের সালামের জবাব দেওয়া কি বাধ্যতামূলক?
সালামের জবাব উত্তমভাবে দেওয়া কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আর যদি কেউ তোমাদের জন্য দোয়া করে (সালাম দেয়), তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর। তার চেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মতো ফিরিয়ে বল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
সালামের জবাব চুপিচুপি না দিয়ে উঁচুস্বরে, সুন্দরভাবে কোমলকণ্ঠে দেওয়া উত্তম। কেননা সালামদাতাকে জবাব না শোনালে সালামের মূল উদ্দেশ্য পূর্ণ হয় না। তাই সালামের জবাব শুনিয়ে দিতে বলেন আলেমরা।
তবে শুধু ইশারায় জবাব দিলে তা আদায় হবে না। সালামদাতা কাছে থাকলে তাকে শুনিয়ে জবাব দিতে হবে। অবশ্য সালামদাতা যদি বধির হয় কিংবা দূরে থাকে তাহলে মুখে উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি ইশারার মাধ্যমেও জবাবের কথা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
বিজ্ঞাপন
(সহিহ বুখারি: ৬২২৭; আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৪১৩; খুলাসাতুল ফতোয়া: ৪/৩৩৩; আলমুহিতুল বুরহানি: ৮/১৮;আল আরফুশ শাজি: ৪/১৪২)