মেরাজ নবীজির জীবনের অন্যতম মোজেজা। মেরাজ অর্থ হলো ঊর্ধ্বগমন। বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে নবীজির মেরাজের যাত্রা শুরু হয়। মহান আল্লাহ তাঁর বন্ধু মুহাম্মদ (স.)-কে ভূমি থেকে আকাশে আরোহণ করিয়ে প্রথম আকাশ থেকে শুরু করে সপ্তাকাশ ভেদ করে সিদরাতুল মুনতাহা পেরিয়ে তাঁর নিজের কাছে ডেকে নিয়েছিলেন। সেটাকেই মিরাজ বলা হয়।
মেরাজের ঘটনায় আমরা দুটি শব্দের প্রয়োগ দেখতে পাই। একটি ইসরা ও অপরটি মিরাজ। ইসরা শব্দের অর্থ রাতের সফর। মেরাজের আগে মহানবী (স.)-কে রাতের একাংশে মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস সফর করানো হয়েছিল বলে সেটিকে ইসরা বলা হয়।
বিজ্ঞাপন
ইসরা নামের একটি সুরা আছে পবিত্র কোরআনে। অবশ্য সুরাটি বনি ইসরাঈল নামেও প্রসিদ্ধ। বিস্ময়কর লাইলাতুল মেরাজের বর্ণনা দিয়ে সুরাটি শুরু করা হয়েছে। রাসুল (স.) এর ইসরা ও মেরাজ স্বশরীরে জাগ্রত অবস্থায় হওয়ার এ সুরাই প্রথম দলিল এবং দ্বিতীয় দলিল হলো সুরা নাজম।
ইসরার ঘটনা বর্ণনায় মহাগ্রন্থ কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘পবিত্র মহিমাময় তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের মাধ্যমে ভ্রমণ করালেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে আল-মসজিদুল আকসা পর্যন্ত...।’ (সুরা বনি ইসরাঈল: ০১)
আরও পড়ুন: মেরাজে নবীজিকে দেওয়া আল্লাহর ৩ উপহার
সুরা নাজমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর অবশ্যই তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন; সিদরাতুল মুনতাহা তথা প্রান্তবর্তী কুলগাছের কাছে; যার কাছে জান্নাতুল মাওয়া অবস্থিত; যখন কুলগাছটিকে যা আচ্ছাদিত করার তা আচ্ছাদিত করেছিল; তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি, দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যুতও হয়নি; অবশ্যই তিনি তার রবের মহান নিদর্শনাবলির কিছু দেখেছিলেন।’ ( সুরা নাজম: ১৩-১৮)
বিজ্ঞাপন
ইসরা ও মিরাজের ব্যাপারে কোরআনের বর্ণনায় সংক্ষেপে এতটুকুই বলা হয়েছে। আর বিস্তারিত এসেছে হাদিসের পাঠগুলোতে। সিরাত, সুন্নাহ এবং তারিখের নির্ভরযোগ্য সূত্রে রয়েছে এর বিশদ বিবরণ।
হিজরতের এক বা দেড় বছর আগে রাসুল (স.) যখন প্রিয়জন হারানোর বেদনায় ব্যথিত ছিলেন, কাফিরদের অকথ্য জুলুম-নির্যাতনে অতিষ্ঠ ছিলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনাস্বরূপ আরশে আজিমে আমন্ত্রণ করেন। হাদিসের ভাষ্যমতে, রাসুলুল্লাহ (স.) এক রাতে শুয়েছিলেন। তন্দ্রাচ্ছন্ন। চোখদুটো মুদে এসেছে বটে, তবে অন্তর ছিল জাগ্রত। এরই মাঝে আগমন করলেন হজরত জিবরাইল আ.। তিনি নবীজিকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন জমজমের নিকট। একটি স্বর্ণের পেয়ালা আনা হলো। জিবরাঈল (আ.) নবীজীর বক্ষ মোবারক বিদীর্ণ করলেন। বের করে আনলেন নবীজির হৃদয়। জমজমের পানি দিয়ে তা ধুয়ে আবার প্রতিস্থাপন করে দিলেন জায়গামতো। ঈমান ও হিকমতে পূর্ণ করে দেওয়া হলো নবীজির কলব।
এরপর আনা হলো নবীজিকে বহন করার জন্য সওয়ারি। সওয়ারির নাম বুরাক। প্রাণীটি গাধার চেয়ে বড়, ঘোড়া থেকে ছোট। রং সাদা। এটা এতটাই ক্ষিপ্রগতির যার একেকটি কদম পড়ে দৃষ্টির শেষ সীমায় গিয়ে। এভাবে নবীজি (স.) মুহূর্তেই পৌঁছে গেলেন বায়তুল মুকাদ্দাসে। বুরাক বেঁধে রাখা হলো পাথর ছিদ্র করে। যে পাথরে অপরাপর নবীগণ নিজেদের বাহন বেঁধে রাখতেন। নবীজি সেখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন। নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় জিবরাঈল (আ.) নবীজির সামনে দুটি পেয়ালা পেশ করলেন। একটি দুধের অপরটি শরাবের। নবীজি দুধের পেয়ালা গ্রহণ করলেন। জিবরাঈল (আ.) বললেন, আপনি (দ্বীনের) স্বভাবসিদ্ধ বিষয়টি নির্বাচন করেছেন। নবীজি মদের পেয়ালা নেওয়ার পরিবর্তে দুধের পেয়ালা গ্রহণ করায় জিবরাইল (আ.) বলেন, আপনি যদি মদের পেয়ালা নিতেন তাহলে আপনার উম্মত বিভ্রান্ত হয়ে পড়ত। (দ্র. সহিহ বুখারি: ৩৩৯৪)
আরও পড়ুন: শবে মেরাজকেন্দ্রিক ১০ বিদআত
নবীজিকে যখন বুরাকে তোলা হচ্ছিল তখন বুরাক ঔদ্ধত্য দেখাল। জিবরাঈল (আ.) বললেন, মুহাম্মাদের ক্ষেত্রে এরকম করছিস! তোর উপর তো এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ কেউ কোনোদিন চড়েনি। এ শুনে বুরাক ঘর্মাক্ত হয়ে গেল। (দ্র. জামে তিরমিজি: ৩১৩১)
ঊর্ধ্বজগতের সফর তথা মেরাজ নিয়ে হাদিসে এসেছে, জিবরাঈল নবীজিকে নিয়ে প্রথম আসমানে গিয়ে দস্তখত দিলেন। জিজ্ঞাসা করা হলো, কে? বললেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার সাথে কে? বললেন, মুহাম্মদ। জিজ্ঞাসা করা হলো, তার কাছে কি আপনাকে পাঠানো হয়েছে? বললেন, হ্যাঁ। এরপর নবীজিকে সম্ভাষণ জানানো হলো- মারহাবা, উত্তম আগমনকারীর আগমন ঘটেছে! খুলে দেওয়া হলো নবীজির জন্য আসমানের দরজা।
নবীজি প্রথম আসমানে গেলেন। সেখানে ছিলেন হজরত আদম (আ.)। জিবরাঈল পরিচয় করিয়ে দিলেন। নবীজি হজরত আদমকে সালাম বললেন। বাবা আদম জবাব দিলেন। নবীজিকে সাদর অভিবাদন জানালেন- মারহাবা, নেককার পুত্র ও নেককার নবী। হজরত আদম (আ.) নবীজির জন্য দোয়া করলেন। এরপর নবীজি উঠতে থাকলেন দ্বিতীয় আসমানের দিকে। সেখানেও দরজা খুলতে প্রথম আসমানের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো। এরপর নবীজিকে অভিবাদন জানানো হলো। নবীজি সেখানে দেখতে পেলেন দুই খালাত ভাই হজরত ঈসা আ. ও হজরত ইয়াহইয়া (আ.)-কে। তাদের সাথে নবীজির সালাম বিনিময় হলো। তাঁরা নবীজিকে স্বাগত জানালেন- মারহাবা, আমাদের পুণ্যবান ভাই এবং সজ্জন নবী। তারা নবীজির জন্য দোয়া করলেন। এভাবে তৃতীয় আসমানে হজরত ইউসুফ (আ.), চতুর্থ আসমানে হজরত ইদরিস (আ.), পঞ্চম আসমানে হজরত হারুন আ., ষষ্ঠ আসমানে হজরত মুসা (আ.) এবং সপ্তম আসমানে হজরত ইবরাহিম আ.-এর সাথে সাক্ষাৎ হলো। ইবরাহিম আ. তখন বাইতুল মামুরে হেলান দিয়ে ছিলেন। বাইতুল মামুর, যেখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশতা আসে। এরপর এই সত্তর হাজার আর ফিরে আসে না। এভাবে প্রতিদিন সত্তর হাজার করে ফেরেশতাদের নতুন নতুন কাফেলা আসতে থাকে। এরপর নবীজিকে নিয়ে যাওয়া হলো সিদরাতুল মুনতাহার দিকে। সেই কুল বৃক্ষের একেকটি পাতা হাতির কানের মতো। আর একেকটি ফল মটকার মতো বড় বড়। যখন ওটাকে আল্লাহর বিধান আচ্ছন্ন করে নিল তা পরিবর্তিত হয়ে গেল। সৃষ্টির কারো সাধ্য নেই তার সৌন্দর্যের বিবরণ দেয়ার। জিবরাঈল বললেন, এটা সিদরাতুল মুনতাহা। এখানে চারটি নহর। দুটি অদৃশ্য আর দুটি দৃশ্যমান। নবীজি জিজ্ঞাসা করলেন, দৃশ্যমান নদীদুটি কোনগুলো? জিবরাঈল বললেন, অদৃশ্যমান দুটি জান্নাতে। আর দৃশ্যমান দুটি হলো নীল নদ ও ফুরাত নদী।
আরও পড়ুন: মহানবীর (স.) মেরাজের ঘটনা
এরপর আল্লাহ তাআলা নবীজির প্রতি যে ওহি পাঠানোর পাঠালেন। দিনরাতে উম্মতের জন্য পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিলেন। নবীজি আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাতের এ হাদিয়া নিয়ে ফেরত আসছিলেন; এর মধ্যে দেখা হজরত মুসা আ.-এর সাথে। মুসা আ. জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ আপনার উম্মতের জন্য কী দিয়েছেন? নবীজি বললেন, পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ। হজরত মুসা বললেন, আপনার উম্মত রাত-দিনে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারবে না। আপনি আল্লাহর কাছে গিয়ে কমিয়ে আনেন। নবীজি সে মতে আল্লাহর কাছে গিয়ে কম করে দেওয়ার দরখাস্ত করলেন। আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। এভাবে নবীজি মুসা (আ.)-এর পরামর্শে আসা-যাওয়া করতে থাকলেন। শেষবার আল্লাহ বলেন, মুহাম্মদ! এই হলো দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। প্রত্যেক নামাজের বিনিময়ে দশ নামাজের সওয়াব। বান্দা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব পাবে। কেউ কোনো ভালো কাজের ইচ্ছা করবে কিন্তু করতে পারবে না, তার জন্যও নেকী রয়েছে। এক নেকী। আর যদি ভালো কাজটি করে তাহলে তার জন্য দশ নেকী। আর কেউ কোনো মন্দ কাজের ইচ্ছা করলে কোনো গুনাহ লেখা হবে না। তবে তা করে বসলে একটি গুনাহ লেখা হবে।
নবীজি এ সওগাত নিয়ে ফেরত আসছিলেন। হজরত মুসার সাথে দেখা হলো। মুসা আ. এবার শুনে বললেন, আপনি যান, আরো কমিয়ে আনুন। আপনার উম্মত পারবে না। বনি ইসরাঈলের বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে। নবীজি বললেন, আমার আর কিছু বলতে লজ্জা হচ্ছে! (দ্র. সহিহ বুখারি: ৩৮৮৭; সহিহ মুসলিম: ১৬২, ১৬৪)
আল্লাহ তাআলা নবীজির জন্য যে বিশেষ উপহার হাউজে কাউসার রেখেছেন প্রথম আসমানে নবীজিকে তা দেখানো হয়। নবীজি সেই কাউসারের বিবরণও দিয়েছেন। (দ্র. সহিহ বুখারি: ৭৫১৭)
নবীজি যখন প্রথম আসমানে যান দেখেন এক ব্যক্তি, তার ডান পাশে কিছু রুহ আর বাম পাশে কিছু রুহের কাফেলা। তিনি ডানদিকে তাকালে হাসেন আর বাম দিকে তাকালে কাঁদেন। তিনি নবীজিকে সম্ভাষণ জানালেন। নবীজি জিজ্ঞাসা করলেন, জিবরাঈল! ইনি কে? জিবরাঈল বললেন, ইনি আদম আ.। আর তাঁর দুই পাশে তার সন্তানদের রুহ। ডানদিকেরগুলো জান্নাতি আর বামদিকেরগুলো জাহান্নামি। এজন্য তিনি ডানদিকে তাকিয়ে হাসেন আর বামদিকে তাকিয়ে কাঁদেন। (দ্র. সহিহ বুখারি: ৩৩৪২)
এ সফরে নবীজিকে জান্নাত-জাহান্নামেও ভ্রমণ করানো হয়। নবীজি বলেন, জান্নাতের প্রাসাদগুলো মুক্তার তৈরি আর তার মাটি হল মেশকের। (সহিহ বুখারি: ৭৫১৭)
নবীজি একদল লোককে দেখলেন, তাদের নখগুলো তামার। নিজেদের নখ দিয়ে তারা নিজের গাল ও বুকে আঁচড় কাটছে। জিজ্ঞাসা করলেন, জিবরাঈল, এরা কারা? বললেন, এরা ওই সমস্ত লোক, যারা মানুষের গোশত খেত এবং তাদের সম্ভ্রমে আঘাত হানত। অর্থাৎ গিবত করত এবং মানুষকে লাঞ্ছিত করত। (মুসনাদে আহমদ: ১৩৩৪০; সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৭৮)
নবীজি এ সফরে মুসা আ. ও ঈসা আ.-এর শারীরিক গড়নেরও বিবরণ দেন। নবীজি বলেন, আমি ইবরাহীমের আকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। (সহিহ বুখারি: ৩৩৯৪)
ইবরাহীম আ.-এর সাথে সাক্ষাৎ হলে তিনি নবীজিকে বলেন, আপনি আপনার উম্মতের কাছে আমার সালাম পৌঁছাবেন। আর তাদেরকে বলবেন, জান্নাতের মাটি পবিত্র ও সুঘ্রাণযুক্ত, এর পানি সুমিষ্ট এবং এর ভূমি উর্বর ও সমতল। আর এর বৃক্ষ হচ্ছে- ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর।’ (জামে তিরমিজি: ৩৪৬২)
এ সফরে নবীজিকে তিনটি উপহার দেওয়া হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সুরা বাকারার শেষ আয়াতগুলো এবং এই উম্মতের যারা শিরক থেকে বেঁচে থেকে মৃৃত্যুবরণ করবে তাদের গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়ার ঘোষণা। (সহিহ মুসলিম: ১৭৩)
এ সফরে নবীজির সাথে পূর্ববর্তী নবীগণের সাক্ষাৎ হয়। তখন তিনি নামাজে সকলের ইমামতি করেন। (সহিহ মুসলিম: ১৭২)
এ সফরে নবীজি দেখলেন, একদল লোকের ঠোঁট আগুনের কাঁচি দিয়ে কাটা হচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলেন, এরা কারা? জিবরাঈল বললেন, এরা বক্তৃতা করত বটে, কিন্তু নিজেরা আমল করত না। (মুসনাদে আহমদ: ১২২১১, ১২৮৫৬)
মিরাজ থেকে ফিরে রাসুলুল্লাহ (স.) হাতিমে বসা। মুশরিকরা ইসরা ও মেরাজের ঘটনা শুনে উপহাস ও কটাক্ষ করতে লাগল। বিভিন্নভাবে নবীজির দিকে প্রশ্নের তীর ছুড়তে লাগল। তারা চাইল, বাইতুল মুকাদ্দাসের পূর্ণ বিবরণ শুনবে। নবীজি এমন প্রশ্নে খুবই বিব্রত হয়ে ওঠেন। এত রাতে কি বাইতুল মুকাদ্দাসকে ওরকম নিখঁুতভাবে দেখতে গিয়েছেন নাকি! নবীজি বলেন, এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আমি আগে পড়িনি। আল্লাহ তাআলা প্রিয় বন্ধুকে সাহায্য করলেন। নবীজির চোখের সামনে মেলে ধরলেন বাইতুল মুকাদ্দাসের দৃশ্য। নবীজি দেখে দেখে তাদের প্রত্যেকটি জিজ্ঞাসার বিস্তারিত জবাব দিলেন। (দ্র. সহীহ বুখারি: ৩৮৮৬; সহিহ মুসলিম: ১৭২)
লাইলাতুল মেরাজের তারিখ নিয়ে বিভিন্ন বর্ণনা থাকলেও ২৬ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭ রজব সংঘটিত হওয়ার কথাটি সমাজে প্রসিদ্ধ।

