সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সিলেটের মাহফিলে হট্টগোল, আজহারী বললেন ‘মনে থাকবে’

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

সিলেটের মাহফিলে হট্টগোল, আজহারী বললেন ‘মনে থাকবে’

সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে শনিবার (১১ জানুয়ারি) তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে লক্ষাধিক শ্রোতার সমাগম হয়েছিল। বিপুল সমাগমের কারণে বেগ পেতে হয় জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে। এক পর্যায়ে মাহফিল সংক্ষিপ্ত করেন তিনি। মোনাজাতের আগে বিরক্তির স্বরে বলেন-  ‘সিলেট আজকে কী করছো এটা মনে থাকবে’।

আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআনের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ৩৬ তম তাফসির মাহফিলের শেষ দিনে আলোচনা পেশ করছিলেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তার আলোচনা শুরু হয় হজরত শাহজালাল, শাহপরান (রহ.) ও সিলেটবাসীর প্রশংসার মাধ্যমে। তবে শেষের চিত্রটা ছিল কিছুটা ভিন্ন। 


বিজ্ঞাপন


আজহারীর বয়ান চলাকালে মঞ্চের ঠিক সামনের সারিতে উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। বেশ কয়েকবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন মাওলানা আজহারী। ধাক্কাধাক্কি, হট্টগোল শুরু হলে তিনি বলেন— ওকে আমি বিদায় নেই। তোমরা যা দেখালে। এই ধাক্কা আসে কীভাবে! কোরআনের মাহফিলে এরকম বাধা দিতো আবু জেহেলের উত্তরসূরীরা। তোমরা তো শাহজালাল,শাহপরানের উত্তরসূরী। তোমরা এরকম করছো কেন?

আরও পড়ুন: ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বের বাণী তুলে ধরতে হবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে: আজহারী

অনেকটা বিরক্তির স্বরে তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিতও হতে পারে। লক্ষ লক্ষ লোক এখানে আছে। এরপর বেশ কিছুক্ষণ মাহফিল চলে। মাহফিলের শেষ দিকে আবারও ধাক্কাধাক্কি ও হট্টগোল শুরু হলে তিনি মোনাজাত পরিচালনা করে মাহফিল শেষ করেন।

জানা যায়, শ্রোতাদের কথাবার্তা ও বিশৃঙ্খল আচরণ বন্ধ না হওয়ায় শিডিউল অনুযায়ী ২ ঘণ্টা বক্তব্য না রেখে ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে আলোচনা শেষ করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


দীর্ঘদিন পর দেশের প্রত্যেকটি বিভাগে মাহফিলে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী। কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রথম মাহফিলের পর যশোরের পুলেরহাটে দ্বিতীয় মাহফিলে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। প্রত্যেকটি মাহফিলেই লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হয়। সর্বশেষ সিলেটের মাহফিলেও শ্রোতাদের সমাগম ছিল উপচে পড়ার মতো।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর