শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

মুসলিম হয়েও জান্নাতে যাবেন না যারা

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

মুসলিম হয়েও জান্নাতে যাবেন না যারা

জান্নাত মানুষের শেষ ও চিরস্থায়ী বাসস্থান। সবাই জান্নাতে যেতে চায়, কেউ চায় না-সে জাহান্নামি হোক। আল্লাহ তাআলাও চান, বান্দা চীরস্থায়ী জান্নাতি হওয়ার জন্য নেক আমল করুক। কিন্তু, কিছু গুনাহ এমন পর্যায়ের, যা জান্নাতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। হাদিস অনুযায়ী, মুসলমান হয়েও ওসব গুনাহের কারণে অনেকে জান্নাতে যেতে পারবেন না। যেমন—

১. প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী


বিজ্ঞাপন


রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যার অনিষ্ট থেকে প্রতিবেশীরা নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৬)

২) অহংকারী

‘যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহঙ্কার রয়েছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ মুসলিম: ১৩১)

৩) চোগলখোর


বিজ্ঞাপন


হজরত হুজাইফা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন, ‘চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (মুসলিম: ১৫১)

৪) আত্মহত্যাকারী

বিশ্বনবী (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে যাবে। সেখানে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে অনন্তকাল ধরে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, তার হাতে বিষ থাকবে। জাহান্নামে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে বিষ খাইয়ে মারতে থাকবে অনন্তকাল ধরে। যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে, যা দিয়ে সে সর্বদায় নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে।’ (বুখারি-৫৪৪২, মুসলিম)

৫) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী

 ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ বুখারি: ৫৫২৫)

৬) হারাম ভক্ষণকারী

আল্লাহর রাসুল (স.) ইরাশাদ করেছেন, ‘হারাম অর্থের মাধ্যমে (যে শরীরে) মাংস বৃদ্ধি পেয়েছে, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বায়হাকি: ৫৫২০)। অর্থাৎ ‘যে ব্যক্তি হারাম অর্থ ও অবৈধ উপার্জন দ্বারা দেহগঠন (জীবিকা নির্বাহ) করেছে, জাহান্নামের আগুনই তার প্রাপ্য।’ (মিশকাত)

৭) খোটাদানকারী ৮)অবাধ্য সন্তান ৯)মদ্যপ

‘সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যে উপকার করে খোটা দেয়।’ (নাসায়ি: ৫৬৮৮, সহিহ আলবানি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘উপকার করে খোঁটা দানকারী, মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, সর্বদা মদপানকারী—এই তিন শ্রেণির মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবেন না। ’ (নাসায়ি: ৫৫৭৭)

১০) অন্যকে নিজের পিতা পরিচয়দাতা

‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে অন্য পিতার সঙ্গে নিজেকে সম্পর্কিত করে—অর্থাৎ নিজেকে অন্য পিতার সন্তান বলে পরিচয় দেয়, তার জন্য জান্নাত হারাম। ’ (বুখারি: ৬২৬৯)

১১) দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে যারা ইলম শিখে

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ইলম দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা হয়, সেই ইলম যদি কোনো ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ-সম্পদ হাসিলের উদ্দেশে শিক্ষা করেন, তিনি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবেন না।’ (আবু দাউদ: ৩১৭৯)

১২) তাকদির (ভাগ্য) অস্বীকারকারী 

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছে, ‘মাতা-পিতার অবাধ্য, মদ্যপানে অভ্যস্ত এবং তাকদিরে অবিশ্বাসী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না’। (আহমদ: ৬/৪৪১; সহিহাহ: ৬৭৫)

১৩) জ্যোতিষ ১৪) জাদুকর

‘৫ শ্রেণির মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (তারা হলো) মদ্যপায়ী, যাদুর বৈধতায় বিশ্বাসী, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, চোগলখোর এবং গণক তথা জ্যোতিশ ব্যক্তি।’ (মুসনাদে আহমদ)

১৫) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি

‘রাসুলুল্লাহ্ (স.) এর কাছে একজন আনসারী ব্যক্তির মৃতদেহ আনা হল জানাযার সালাত আদায় করার জন্য। রাসুলুল্লাহ্ (স.) বললেন, তোমরাই স্বীয় সাথীর জানাযার সালাত আদায় কর, যেহেতু সে ঋণগ্রস্ত। আবু কাতাদা (রহ) বললেন, সে ঋণ আমার উপর (সে ঋণ আদায়ের দায়িত্ব আমার।) নবী (স.) তা আদায় করার অঙ্গীকার চাইলেন। আদায় করার অঙ্গীকার করা হলে তিনি জানাযা আদায় করলেন’ (নাসায়ি: ১৯৬০)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ঋণ ছাড়া শহিদের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ (মুসলিম: ১৮৮৬))

১৬) পুরুষ বেশধারী নারী ১৭) দাইয়ুস

রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না— মা-বাবার অবাধ্য, দাইয়ুস (অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-বোন প্রমুখ অধীনস্থ নারীকে বেপর্দা চলাফেরায় বাধা দেয় না) এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলা।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ২২৬)

‘ওই ব্যক্তিকে দাইয়ুস বলা হয়, যে তার পরিবারের অশ্লীলতা ও কুকর্মকে মেনে নেয়।’ (মুসনাদ আহমদ, নাসায়ি)

১৮) আল্লাহর রাসুলের নাফরমান

‘আমার সব উম্মত জান্নাতে যাবে, কিন্তু সে ব্যক্তি নয়, যে অস্বীকার করেছে।’ সাহাবিরা আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কে অস্বীকার করেছে? তিনি বললেন, ‘যে আমার আনুগত্য করে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে আমার নাফরমানি করে, সে (জান্নাতে যেতে) অস্বীকার করেছে।’ (বুখারি: ৬৭৩৭)

১৯) ওয়ারিশকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিতকারী

‘যে ব্যক্তি কোনো ওয়ারিশকে তার অংশ থেকে বঞ্চিত করল, আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের অংশ থেকে বঞ্চিত করবেন।’ (ইবনে মাজাহ: ২৬৯৪)

২০) ব্যভিচারী ২১) মিথ্যাবাদী শাসক ২২) অহংকারী গরিব

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন,  ‘তিন ব্যক্তির সঙ্গে আল্লাহ পরকালে কথা বলবেন না এবং তাদের পবিত্রও করবেন না। তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি। তারা হলো ব্যভিচারী বৃদ্ধ, মিথ্যাবাদী শাসক ও অহংকারী দরিদ্র। ’ (মুসলিম: ১০৭)

২৩) পায়ের গিরার নিচে কাপড় পরা ব্যক্তি ২৪) মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রেতা

‘মহান আল্লাহ কেয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদের সঙ্গে কোনো কথাও বলবেন না, তাদের পরিশুদ্ধতা প্রত্যয়ন করবেন না, তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। তারা হলো—

যেসব পুরুষ পায়ের গিরার নিচে কাপড় পরিধান করে, মিথ্যা শপথ করে পণ্য চালিয়ে দেয় এবং দান করে খোঁটা দেয়। (নাসায়ি: ২৫৬৩)

২৫) যে মহিলা অকারণে তালাক চায়

হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘যে নারী তার স্বামীর কাছে অকারণে তালাক কামনা করে, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।’ (তিরমিজি: ১১০৮)

২৬) চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যাকারী

‘যে ব্যক্তি মুসলিম সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বসবাসকারী কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের পথের দূর থেকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।’ (বুখারি)

২৭) অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎকারী

রাসুলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কসম করে কোনো মুসলমানের সম্পদ আত্মসাৎ করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব করে দেন এবং জান্নাত হারাম করেন। এক ব্যক্তি বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! যদি সামান্য কোনো জিনিস হয়? তিনি বললেন, ‘যদিও পিপুল গাছের একটি ছোট ডাল হোক না কেন।’ (মুসলিম: ১৯৬)

২৮) বিশ্বাসঘাতক শাসক

বিশ্বনবী (স.) বলেন, ‘মুসলমানদের ওপর প্রতিনিধিত্বকারী শাসক যদি এ অবস্থায় মারা যায় যে, সে তার অধীনস্থদের ধোঁকা দিয়েছে, তা হলে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (বুখারি: ৬৬১৮)

অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আল্লাহ তাআলা যাকে জনসাধারণের শাসনকর্তা হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, কিন্তু সে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং বিশ্বাসঘাতক থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (মুসলিম)

২৯) দাড়ি- চুলে মেহেদী ছাড়া পিউর কালো কলপ ব্যবহারকারী

আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, শেষ যুগে এমন এক শ্রেণির লোক হবে, যারা পায়রার ছাতির মতো কালো কলপ ব্যবহার করবে, তারা জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না। (আবু দাউদ: ৪২১২, নাসাই, সহিহুল জামে: ৮১৫৩)

৩০) অশ্লীলভাষী ৩১) উগ্র মেজাজি ৩২) কটূভাষী

হারেছা বিন ওহাব (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘অশ্লীলভাষী ও উগ্র মেজাজি লোক জান্নাতে যাবে না’ (আবু দাউদ: ৪১৬৮)। রাসুলুল্লাহ (স.) আরো বলেন—

‘কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং ওই লোকও নয়, যে এমন সব বিষয়ে মানুষের কাছে গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার কাছে নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮০১)

৩৩) উলঙ্গ-অর্ধ উলঙ্গ নারী

‘যারা (নিজেদের চলাফেরা ও বেশভূষায়) মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং নিজেরাও অন্য মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথায় উটের মতো উঁচু এবং একপাশে ঝুঁকে থাকা চূড়ার মতো চুলের খোপ শোভা পাবে। এসব নারী জান্নাতে তো যাবেই না, বরং জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ এত এত দূর থেকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।’ (মুসলিম-২১২৮)

৩৪) লৌকিকতা প্রদর্শনকারী

‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম একজন শহীদকে ডাকা হবে। অতঃপর একজন কারিকে। তারপর একজন দানশীল ব্যক্তিকে হাজির করা হবে। প্রত্যেককে তার কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। অতঃপর শহীদকে বীর-বাহাদুর উপাধি লাভের উদ্দেশে জিহাদ করার অপরাধে, কারি সাহেবকে বড় কারির উপাধি ও সুখ্যাতি লাভের জন্য কেরাত শেখার অপরাধে এবং দানশীলকে বড় দাতা উপাধি লাভের উদ্দেশে দান-সদকা করার অপরাধে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। ’ (মুসলিম: ৩৫২৭)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, উপরোক্ত ৩৪ শ্রেণির লোক জাহান্নামে যাবেন। তবে, প্রথম পর্যায়ে তারা জান্নাতে যেতে না পারলেও জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবেন। কোনো তওহীদপন্থী ব্যক্তি কাফেরদের মতো চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে অবস্থান করবেন না। এটি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকিদা। মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন—

যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি যব পরিমাণও পুণ্য বিদ্যমান থাকবে, তাকে জাহান্নাম হতে বের করা হবে এবং যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি গম পরিমাণও পুণ্য বিদ্যমান থাকবে তাকে জাহান্নাম হতে বের করা হবে এবং যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি অণু পরিমাণও নেকি থাকবে তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে।’ (বুখারি: ৪৪)

উল্লেখ্য, মৃত্যুর পরে নেক আমল করার সুযোগ নেই। যা করার বেঁচে থাকতেই করতে হবে। গুনাহ যতই হোক, মনে রাখতে হবে, আল্লাহ তাআলা পরম ক্ষমাশীল। তওবা করলে যেকোনো গুনাহ তিনি ক্ষমা করে দেন। ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন’ (সুরা বাকারা: ২২২)। এমনকি তাঁর রহমত থেকে নিরাশ হতেও নিষেধ করেছেন তিনি। ‘যারা নিজেদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছে, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। নিশ্চয় আল্লাহ সকল গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সুরা যুমার: ৫৩)।

তবে, শিরক থেকে দূরে থাকতে হবে।। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না, যে ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে শরিক করে। তিনি ক্ষমা করেন শিরকের নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।’ (সুরা নিসা: ৪৮)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জান্নাত যাওয়ার অন্তরায়গুলো থেকে দূরে থাকার এবং কোরআন-সুন্নার ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএ/

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর