শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সুরা ইয়াসিনের বিশেষ ৬ ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

সুরা ইয়াসিনের বিশেষ ৬ ফজিলত

সুরা ইয়াসিন একটি মর্যাদাসম্পন্ন সুরা। গুরুত্বপূর্ণ এ সুরাটিকে পবিত্র কোরআনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়। এই সুরার অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। এখানে সুরা ইয়াসিনের বিশেষ ছয়টি ফজিলত তুলে ধরা হলো।

১. প্রয়োজন পুরা হয়
হজরত আতা ইবনে আবি রাবাহ (রহ) বলেন, আমার কাছে এই হাদিস পৌঁছেছে যে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- مَنْ قَرَأَ یٰسٓ فِي صَدْرِ النَّهَارِ، قُضِيَتْ حَوَائِجُهُ অর্থ: ‘যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে সু ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে তার যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করা হবে। (সুনানে দারেমি: ২/৫৪৯; ফাজায়েলে আমল: ০১/৫২) 


বিজ্ঞাপন


২. সারাদিন স্বস্তিতে রাখা হয়
হজরত ইয়াহইয়া ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।’ (আহকামুল কোরআন লিল-কুরতুবি: ২/১৫)

আরও পড়ুন: সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছোট দোয়া

৩. ক্ষমা লাভের মাধ্যম
হজরত জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য রাতের বেলা সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ২৫৭৪, তাফসিরে ইবনে কাসির: ৬/৫৬২) অন্য হাদিসের বর্ণনায় ‘ওই রাতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (ইবনুস সিন্নি, আমালুল ইয়াওম ওয়াল লাইলাহ: ৪৭)

৪. মৃত্যুযন্ত্রণা লাঘব হয়
মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির কাছে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করা উত্তম। সফওয়ান (রহ) বলেন, ‘কয়েকজন প্রবীন তাবেয়ি আমাকে বলেছেন যে, তারা সাহাবি গুজাইফ ইবনুল হারেস (রা.)-এর মৃত্যুযন্ত্রণার সময় তাকে দেখতে যান। তখন সাহাবি গুজাইফ (রা.) বললেন, তোমাদের মাঝে সুরা ইয়াসিন পড়তে পারে এমন কেউ আছে? তখন সালেহ ইবনে শুরাইহ আস সাকুনি ইয়াসিন পড়া শুরু করলেন। সফওয়ান (রহ) বলেন, প্রবীণ তাবেয়িগণ বলতেন, মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির নিকট সুরা ইয়াসীন পড়া হলে মৃত্যুযন্ত্রণা লাঘব হয়। (মুসনাদে আহমদ: ১৬৯৬৯)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: মা-বাবার জন্য আল্লাহর শেখানো ৩ দোয়া

৫. কবরবাসীর আজাব কমে
হজরত আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কবরস্থানে প্রবেশ করে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা কবরবাসীর আজাব হালকা করে দেন এবং তার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সওয়াব লেখা হয়। (শারহুস সাদুর: ৩০)

৬. দশ বার কোরআন পড়ার সওয়াব
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক বস্তুর হৃদয় থাকে, কোরআনের হৃদয় হলো সুরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি একবার সূরা ইয়াসিন পড়বে, মহান আল্লাহ তাকে দশবার সমগ্র কুরআন পড়ার সওয়াব দান করবেন।’ (তিরমিজি: ২৮৮৭ বায়হাকি, শুআবুল ঈমান: ২২৩৮) এই হাদিসটি দুর্বল হলেও আমলযোগ্য। কেননা ফাজায়েলের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদিসও আমলযোগ্য এবং মোস্তাহাব। এটি উসুলে হাদিসের নীতি। ইমাম নববি (রহ) বলেন, ‘মুহাদ্দিসিন ও ফুকাহায়ে কেরাম ও অন্যান্য ওলামায়েকেরাম বলেন, দুর্বল হাদিসের ওপর ফাজায়েল ও তারগিব তথা উৎসাহ প্রদান ও তারহিব তথা ভীতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আমল করা জায়েজ ও মোস্তাহাব, যদি হাদিসটি জাল না হয়। (আল আজকার: ৭-৮)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর