সারাদিনে এমন কিছু বিশেষ আমল রয়েছে, যেগুলোর ফজিলত অসীম। প্রিয়নবী (স.) উম্মতকে তা জানিয়েও দিয়েছেন। তেমনই এক বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আমল হলো জোহরের আট রাকাত সুন্নত। এই আট রাকাত সুন্নত আদায়কারীর জন্য জাহান্নাম হারাম ঘোষণা করা হয়েছে হাদিসে।
ইরশাদ হয়েছে— قَالَ عَنْبَسَة بْنِ أَبِي سُفْيَانَ : أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ أُمَّ حَبِيبَةَ – يَعْنِي أُخْتَهُ – تَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ صَلَّى أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ، وَأَرْبَعًا بَعْدَهَا؛ حَرَّمَ اللَّهُ لَحْمَهُ عَلَى النَّارِ . فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ
আমবাসা বিন আবু সুফিয়ান (রহ.) বলেন, আমি আমার বোন উম্মে হাবিবা (রা.)-কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জোহরের আগে চার রাকাত এবং পরে চার রাকাত (সুন্নত) পড়বে আল্লাহ তাআলা তার দেহ জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেবেন। (মুসনাদে আহমদ: ২৬৭৬৪, হাদিসটি সহিহ; সুনানে নাসায়ি: ১৮১২)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: যে আমলের কারণে পাপ নেকিতে রূপ নেয়
জোহরের আট রাকাত সুন্নত পড়তে হয় যেভাবে
জোহরের ফরজ নামাজের আগের চার রাকাত (সুন্নতে মুয়াক্কাদা), আর পরের চার রাকাত পড়তে হবে দুই রাকাত করে। এর মধ্যে প্রথম দুই রাকাত (সুন্নতে মুয়াক্কাদা), বাকি দুই রাকাত গায়রে মুয়াক্কাদা বা নফল। জোহরের আগে পরে এই আট রাকাত সুন্নত নামাজ খুবই গুরুত্ব দিয়ে আমল করতেন পূর্ববর্তীরা।
উপরোক্ত হাদিসটি বর্ণনা করার পর আমবাসা বিন আবু সুফিয়ান (রহ) বলেন, فَمَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ অর্থাৎ, হাদিসটি শোনার পর থেকে নামাজগুলো আমি কখনও ছাড়িনি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রতিদিন জোহরের আট রাকাত সুন্নত গুরুত্বের সঙ্গে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

