স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বেশকিছু জেলায় চরম দুর্দশায় দিন পার করছেন মানুষ। এমতাবস্থায় বন্যার্তদের জন্য ৭০০ টন ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি নিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ জনিয়েছে, প্রথম ধাপে ২০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম ধাপের কিছু অংশের কাজ শেষ হয়েছে। এ ধাপে প্রতি প্যাকেটে দুই কেজি খেজুর, দুই কেজি চিঁড়া, এক কেজি লবণ ও এক কেজি চিনি দিচ্ছি। আরও রয়েছে বনরুটি, পানি। যেহেতু রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই এ ব্যবস্থা।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো ও ভারী ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে থাকছে ১০ কেজি চাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি ডাল ও এক কেজি লবণ। যেসব জায়গায় রান্নার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে এসব ত্রাণ ইতোমধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের চলমান সংকটগুলোতে যেভাবে পাশে রয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
তৃতীয় ধাপে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ৫০ হাজার পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। যাদের উপার্জন করার মতো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা থাকবে না, তাদের জন্য এ ত্রাণ।
বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের পরিকল্পনাও রয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের। তারা বলেন, কয়েকটা জেলা মিলে অনেকগুলো জায়গায় ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। ঘরহারা ৫ হাজার পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা করা হবে। আমরা সবসময় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে থাকি। যেন বেশি সময় মানুষ সুফল ভোগ করতে পারে। গতকাল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ গণমাধ্যম ও নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, আমরা তিন ধাপে এবার ত্রাণ বিতরণ করব।
বিজ্ঞাপন
‘মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশুর কথাও আমরা ভেবেছি। গোখাদ্য হিসেবে দুর্গত এলাকার জন্য ৬৭.৩৭ টন ভূসি পাঠানো হয়েছে। এগুলো বন্যদুর্গত ৪টি জেলা ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্পটে বিতরণ করা হবে।’