এই মুহূর্তে বাংলাদেশে দুই ধরনের বিপর্যয় চলছে। একদিকে ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর অনেক অঞ্চল; দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। অন্যদিকে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতরা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে।
দেশের এই ক্রান্তিকালে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন উভয় বিপর্যয় নিয়েই কাজ করে চলেছে। ইতোমধ্যে বন্যায় ত্রাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্যার্তদের উদ্ধার ও সহায়তায় ৫০০ টন ত্রাণ বিতরণের কাজ চলছে বলে জানান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের ৫০০ টন ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি চলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ
পাশাপাশি বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের চিকিৎসা সহায়তার কার্যক্রমও চলমান আছে সংগঠনটির। এ বিষয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, শুরুতেই আমরা হতাহতদের জন্য ৫ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা দিয়েছি। বেশ আগেই আমরা গুগল ফরমের মাধ্যমে হতাহতদের তথ্য সংগ্রহ করি। সারাদেশ থেকে গুগল ফরমে দুই হাজারের অধিক আবেদন আসে। সংগৃহীত তথ্য যাচাই-বাছাই করে অনেকের কাছে ইতোমধ্যে সহায়তা পৌঁছানো হয়েছে। বাকিদের টাকা যাচাই-বাছাই শেষে প্রেরণের কাজ চলমান আছে।
‘এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনিস্টিটিউট এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালসহ অন্যান্য জায়গায় চিকিৎসাধীনদের মাঝে নগদ অর্থ বা চেকের মাধ্যমে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। চিকিৎসা সহায়তা শেষ হলে নিহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমও শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। তার জন্য প্রয়োজনে আরো ৫ কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের চলমান উভয় সংকট নিয়েই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা-কার্যক্রম চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।