সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভুল স্বীকার করা উত্তম বান্দার বৈশিষ্ট্য

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ভুল স্বীকার করা উত্তম বান্দার বৈশিষ্ট্য

মানুষের ভুল হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ভুলের পর তা স্বীকার করা ও অনুতপ্ত হওয়াই মনুষ্যত্বের পরিচয়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার। আর গুনাহগারদের মধ্যে তাওবাকারীরা উত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪২৫১)

ভুল স্বীকার না করা এবং ভুলের ওপর অটল থাকা আল্লাহ পছন্দ করেন না। বরং ভুল করার পর বান্দা অনুতপ্ত হবে এটাই আল্লাহর পছন্দ। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যদি তোমরা পাপ না করতে তবে আল্লাহ এমন মাখলুক বানাতেন, যারা পাপ করত এবং আল্লাহ তাদের মাফ করে দিতেন।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৮৫৬)


বিজ্ঞাপন


ইসলামের শিক্ষা হলো- ভুল স্বীকার করা মানুষের দুর্বলতা নয়। কারণ সৃষ্টিগতভাবেই ভুল করার প্রবণতা মানুষের মধ্যে রয়েছে। তাই ভুল হলে স্বীকার করে নেওয়াই যৌক্তিক এবং উত্তম বান্দার বৈশিষ্ট্য। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ ভুল করে, সর্বোত্তম ভুলকারী যে অনুতপ্ত হয় (এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে)।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৪৯৯)

আরও পড়ুন: গুনাহ যেভাবে সওয়াবে পরিণত হয়

ভুল স্বীকারকারীরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে ক্ষমা লাভের উপযুক্ত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘এবং অপর কতক লোক নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক ভালো কাজের সঙ্গে অপর মন্দ কাজ মিশ্রিত করেছে। আল্লাহ হয়ত তাদের ক্ষমা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা তাওবা: ১০২) 

ভুল স্বীকারকারীর ব্যাপারে বান্দাদের প্রতিও মহান আল্লাহর নির্দেশ তা-ই। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল। আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৪)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: যে আমল করলে ছোট-বড় সব গুনাহ মাফ

ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়াই উচিত। কারণ হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী, যে ব্যক্তি ভুল স্বীকার করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে ক্ষমাকারী ব্যক্তির চেয়ে অগ্রগামী। আবু দারদা (রা.) বলেন, একবার আবু বকর (রা.) ও ওমর (রা.)-এর মধ্যে বিতর্ক হলো, আবু বকর (রা.) ওমর (রা.)-কে রাগিয়ে দিয়েছিলেন। ওমর (রা.) রাগান্বিত অবস্থায় সেখান থেকে চলে গেলেন। আবু বকর (রা.) তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে করতে তাঁর পিছু নিলেন।

কিন্তু ওমর (রা.) ক্ষমা করলেন না; বরং তাঁর সম্মুখের দরজা বন্ধ করে দিলেন। এরপর আবু বকর (রা.) রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কাছে এলেন। আবু দারদা (রা.) বলেন, আমরা তখন রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কাছে ছিলাম, ঘটনা শোনার পর রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, তোমাদের এই সঙ্গী আবু বকর আগে কল্যাণ লাভ করেছে।’ (সহিহ বুখারি: ৪৬৪০)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর