আকিকার গোশত রান্না করে খাওয়ানো যায়; আবার কাঁচা গোশত হাদিয়াও দেওয়া যায়। তবে সাধারণ অবস্থায় গোশত হাদিয়া দেওয়ার চেয়ে রান্না করে খাওয়ানো উত্তম।
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) আকিকার গোশতের হুকুম বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন- تُجْعَلُ جُدُولاً، فَيُطْبَخُ، فَيَأْكُلُ وَيُطْعِمُ ‘টুকরো টুকরো করে কেটে রান্না করে নিজে খাবে এবং খাওয়াবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ২৪৭৪৪)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আকিকা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
ইমাম নববি (রহ) বলেন- قال جمهور أصحابنا يستحب أن لا يتصدق بلحمها نيا بل يطبخه ‘মোস্তাহাব হলো আকিকার গোশত কাঁচা সদকা করবে না; বরং তা রান্না করে খাওয়াবে।’ (আল মাজমু: ৮/৪১০)
ইবনে কুদামা (রহ) বলেন- وإن طبخها، ودعا إخوانه فأكلوها، فحسن ‘আকিকার গোশত রান্না করে ভাই-বেরাদার (আত্মীয়-স্বজনকে) দাওয়াত করে খাওয়ানো উত্তম।’ (আল মুগনি: ১৩/৪০০
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিভিন্ন দাওয়াতের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আকিকার দাওয়াতেও বেগানা নারি-পুরুষের একসঙ্গে খাওয়া, একই স্থানে বসা এবং উপঢৌকন দেওয়া-নেওয়ার আয়োজন করা হয়। আবার অনেক জায়গায় এটিকে জরুরিও বানিয়ে ফেলা হয়েছে। অথচ এসব শরিয়তে নিষিদ্ধ। তাই দাওয়াত করে আকিকার গোশত খাওয়াতে চাইলে শরিয়তে নিষিদ্ধ—এমন সব কাজ থেকে দাওয়াতের অনুষ্ঠানকে মুক্ত রাখতে হবে। (তানকিহুল ফতোয়াল হামিদিয়্যা: ২/২৩৩; ইলাউস সুনান: ১৭/১২০)