নফল রোজা আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি বড় মাধ্যম। দুই ঈদের দিন, কোরবানির ঈদের পরের তিন দিন এবং রমজান মাস ছাড়া বছরের যেকোনো দিন নফল রোজা রাখা যায়। এখন বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। এমন বৃষ্টির দিনে বাইরে চলাচলের সময় অসতর্কতাবশত বৃষ্টির পানি গলার ভেতরে ঢুকে গেলে রোজা ভেঙে যাবে কি না জানতে চান অনেকে।
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও বৃষ্টির পানি যদি গলায় চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। এক্ষেত্রে রোজাটির কাজা করে নিতে হবে। তবে কাফফারা দিতে হবে না। (খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/২৫৪; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২০৩; রদ্দুল মুহতার: ২/৪০৩; ফতোয়ায়ে বাজজাজিয়া: ১/৯৮)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
থুথু গিলে ফেলাসহ ৩০ কারণে রোজা ভাঙে না
যেসব কারণে রোজা ভাঙলে কাফফারা দিতে হয় না
তাই বৃষ্টির সময় কিংবা অজু-গোসলের সময় রোজাদারের সতর্ক থাকা উচিত। তবে, যদি রোজার কথা স্মরণ না থাকে এবং স্মরণ না থাকার কারণেই বৃষ্টির পানি মুখে নিয়ে গিলে ফেলা হয় অথবা অজুর সময় ভুলে গড়গড়া করা হয় এবং এতে গলায় পানি চলে যায়, তাহলে রোজা ভাঙবে না। এক্ষেত্রে ওই রোজার কাজা-কাফফারা কোনোটিই আদায় করতে হবে না। কারণ, ভুলে পানাহার করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল; সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’ (সহিহ মুসলিম: ১/২০২)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আছে, ‘যে রমজান মাসে ভুলে পানাহার করল, তার ওপর কোনো কাজা নেই; কোনো কাফফারাও নেই।’ (ইবনে হিব্বান: ০৮/২৮৮; হাকিম: ০১/৪৩০; সহিহুল জামি: ৬০৭০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজা সংক্রান্ত মাসায়েলসহ ইসলামি শরিয়তের সকল নির্দেশনা যথাযথ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

