কেয়ামতের দিন মানুষ যখন সুপারিশের জন্য নবীদের কাছে যাবেন তখন তাঁরা সুপারিশ করতে সম্মত হবেন না, বরং অন্য নবীদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। কঠিন সেই মুহূর্তে আমাদের প্রিয়নবীই থাকবেন একমাত্র ভরসাস্থল। তিনি সেজদায় পড়ে আল্লাহর কাছে সুপারিশের অনুমতি নিয়ে উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন। হাদিসের এক বর্ণনায়- ‘আমিই হব সর্বপ্রথম সুপারিশকারী এবং সর্বাগ্রে আমার সুপারিশ কবুল করা হবে।’ (ইবনে মাজাহ: ৪৩০৮)
তবে নবীজির সুপারিশ পেতে হলে শরিয়তের নির্ধারিত বিধান পালনের পাশাপাশি বেশকিছু আমলের ওপর সচেষ্ট হতে হবে। একটি আমল হলো- নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী দরুদ বিভিন্নভাবে পাঠ করা যায়। একটি দরুদের ব্যাপারে হাদিসে এসেছে, সেই দরুদটি পাঠ করলে নবীজির সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আজান শুনে যে দোয়া পড়লে নবীজির শাফায়াত অবধারিত
দরুদটি হলো- اللهُمَّ صَلِّ على محمّدٍ وأَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقرَّبَ عِندكَ يومَ القِيامَةِ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়াআনজিলহুল মাক্বআদাল মুক্বাররাবা ইনদাকা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ।’ অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের নবী মুহাম্মদ (স.)-এর উপর রহমত নাজিল করুন এবং কেয়ামতের দিন তাঁকে আপনার নিকটবর্তী আসনে বসান।’
আরও পড়ুন: দরুদ ও সালামের অবিশ্বাস্য ফজিলত
রুওয়াইফি ইবনে ছাবিত আলআনসারি (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি উল্লেখিত দরুদ পাঠ করবে তার জন্য আমার সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে। (আলমুজামুল কাবির, তবারানি: ৫/৪৪৮১; মাজমাউজ জাওয়াইদ: ১০/২৫৪)
বিজ্ঞাপন
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পড়ার তাওফিক দান করুন। শরিয়তের সকল বিধান যথাযথ পালনের তাওফিক দান করুন। কঠিন কেয়ামতের দিন নবীজির শাফায়াত নসিব করুন। আমিন।

