নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য তেলাওয়াত শুদ্ধ হওয়া জরুরি। কিন্তু কেরাতের যেকোনো প্রকার ভুলের কারণেই নামাজ নষ্ট হয়ে যায় না; বরং কেরাত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি অর্থের মধ্যে এমন বিকৃতি ঘটে যা কোরআনে বর্ণিত তথ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অথবা ভুলের কারণে যে অর্থ সৃষ্টি হয়েছে তা ঈমান পরিপন্থী, তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
ফিকহের কিতাবে রয়েছে, নামাজের কেরাতে ‘লাহনি জলি’ বা অর্থ বিকৃত হওয়ার মতো ভুল হলে নামাজ ভেঙে যাবে। চাই তা তিন আয়াত পরিমাণের ভেতরে হোক বা পরে। সর্বাবস্থায় একই হুকুম। পক্ষান্তরে সাধারণ ভুল, যার দ্বারা অর্থ একেবারে বিগড়ে যায় না, তাতে নামাজ নষ্ট হবে না।’ (খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/১১৮; ফতোয়ায়ে কাজিখান: ১/৬৭)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: অজুতে ঘাড় মাসেহ করা সুন্নত, নাকি বিদআত?
তাই ইমাম নিয়োগ দেওয়ার আগে অথবা কারও পেছনে জামাতে নামাজ পড়ার আগে তার তেলাওয়াত বিশুদ্ধ কি না যাচাই করে নিতে বলেন বিজ্ঞ আলেমরা।
কিন্তু প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তথা ইমামের কেরাত অশুদ্ধ হলে সাধারণ মুসল্লির জন্য নিজ থেকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিজ্ঞ আলেম বা কোনো মুফতি সাহেবকে ওই অশুদ্ধ কেরাতের ধরণ জানিয়ে এর হুকুম জেনে নেওয়া জরুরি। এতে ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া থেকে বাঁচা যাবে।
যদি বাস্তবেই প্রমাণিত হয় যে, ইমামের কেরাত এমন অশুদ্ধ, যার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে করণীয় হলো- ফিতনার আশঙ্কা থাকলে ওই ইমামের পিছনে জামাতের সময় নামাজ পড়ে নিবে। পরে একাকী সেই নামাজ পুনরায় পড়ে নিবে। কিন্তু ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে একাকী নামাজ পড়বে না।
বিজ্ঞাপন
(বুখারি: ১/৭৬; ফাতহুল বারি: ২/১৮; তিরমিজি: ১/৪৩; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৪/১৪৬; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৭৬; হিন্দিয়া: ১/৭৯; রদ্দুল মুহতার: ১/৬৩১)

