সাধারণ অবস্থায় ওলিমার দাওয়াত গ্রহণ করা সুন্নত। হজরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ নিজের ভাইকে দাওয়াত দিলে সে যেন তা কবুল করে; তা ওলিমার দাওয়াত হোক বা অন্যকোনো দাওয়াত। (সহিহ মুসলিম: ১৪২৯)
তবে আজকাল অধিকাংশ বিয়ের অনুষ্ঠানে গান-বাজনা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ও বেপর্দা ব্যাপক। এরকম হলে এ ধরনের দাওয়াতে অংশগ্রহণ না করাই কর্তব্য।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
কত বছর বয়সে বিয়ে করা সুন্নত
বিয়ে ছাড়াই জীবন কাটিয়ে দিলে কি জান্নাত হারাম?
তবে দাওয়াতকারী যদি এমন নিকটাত্মীয় হয় যে, দাওয়াতে অংশগ্রহণ না করলে সে অধিক মনক্ষুণ্ন হবে বা আত্মীয়তা সম্পর্ক নষ্ট হবে সেক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীর জন্য যদি গুনাহের কাজ থেকে প্রতিবাদ করা সম্ভব হয় তাহলে প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে তাতে অংশগ্রহণ করা যাবে। কিন্তু প্রতিবাদ করা সম্ভব না হলে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। এক্ষেত্রে নিজ থেকে আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করবে।
(হেদায়া, ফাতহুল কাদির: ৮/৪৪৮; রদ্দুল মুহতার: ৬/৩৪৭; আলমুহিতুল বুরহানি: ৮/৭৭; হিন্দিয়া: ৫/৩৪৩)

