হজ ইসলামি শরিয়তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আর্থিক ও দৈহিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। হজের উদ্দেশ্য হতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জরুরি হলো- সুন্নত পদ্ধতি, তাকওয়া, ইখলাস ও দোয়া।
এসবকিছুর প্রয়োজন এজন্য যে, হজ যেন পরিপূর্ণ ও মাকবুল হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা আদেশ করেছেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরা পরিপূর্ণরূপে পালন করো। (সুরা বাকারা: ১৯৬) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘হজের সফরে তোমরা পাথেয়র ব্যবস্থা করো, বস্ত্তত তাকওয়াই উৎকৃষ্ট পাথেয়। হে জ্ঞানী লোকেরা তোমরা আমাকে ভয় করে চলো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭) আল্লাহ তাআলা আরও বলেছেন, ‘তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর ইবাদত করতে তার আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে।’ (সুরা বাইয়িনাহ: ৫)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: হজ ও ওমরা পালনকারীরা যেসব প্রতিদান পাবেন
হজে যেন কোনোরকম লোকদেখানো প্রবণতা বা রিয়া না থাকে সেজন্য একটি দোয়ার উল্লেখ রয়েছে হাদিসে। দোয়াটি হলো— اللَّهُمَّ حِجَّةٌ لاَ رِيَاءَ فِيهَا وَلاَ سُمْعَةَ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা হিজ্জাতুন লা রিয়াআ ফীহা ওয়ালা সুমআতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার হজকে রিয়া ও খ্যাতির আকাঙ্ক্ষামুক্ত হজরূপে কবুল করুন।’
হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) একটি পুরাতন বাহন এবং চার দিরহাম বা তার চেয়ে কম মূল্যের একটি পশমি বস্ত্রে হজে করলেন, তখন তিনি উল্লেখিত দোয়াটি করলেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১৬০৫৩)
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক হাজি সাহেবকে রাসুলের সুন্নত ও আদর্শ মোতাবেক হজ করার তাওফিক দান করুন। উল্লেখিত দোয়াটি পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

