আজান অর্থ ডাকা বা আহবান করা। মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ আহ্বানকে আজান বলা হয়। আজান দেওয়ার সঠিক নিয়ম হলো- মসজিদের বাইরে কোনো উঁচু স্থান বা মিনার থেকে আজান দেওয়া। সালাফের আজানের পদ্ধতি এরকমই ছিল। এ ব্যাপারে অনেক হাদিস ও আছার রয়েছে। যেমন, নাজ্জার গোত্রের এক নারী সাহাবিয়া (রা.) বলেন- كَانَ بَيْتِي مِنْ أَطْوَلِ بَيْتٍ حَوْلَ الْمَسْجِدِ وَكَانَ بِلَالٌ يُؤَذِّنُ عَلَيْهِ الْفَجْرَ ‘মসজিদে নববির নিকটবর্তী বাড়িগুলোর মধ্যে আমার বাড়ি ছিল সবচেয়ে উঁচু। বেলাল (রা.) সেখানে উঠে ফজরের আজান দিতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯)
আবদুল্লাহ ইবনে শাকিক (রহ) বলেন- مِنَ السُّنَّةِ الأَذَانُ فِي الْمَنَارَةِ، وَالإِقَامَةُ فِي الْمَسْجِدِ ‘সুন্নাহ হচ্ছে আজান মিনার থেকে দেওয়া এবং ইকামত মসজিদের ভেতর দেওয়া।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ২৩৪৫)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: অফিস আদালতে আজান ছাড়া নামাজ পড়ার বিধান
এসব হাদিস-আছারের কারণে ফকিহগণও উঁচু স্থান বা মিনার থেকে আজান দেওয়াকে সুন্নত বলেছেন এবং মসজিদের ভেতর আজান দেওয়াকে মাকরুহ বলেছেন। এর মূল কারণ হলো- আওয়াজ দূরে না পৌঁছা। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু সাধারণত মাইকে আজান দেওয়া হয় আর এক্ষেত্রে মসজিদের ভেতর থেকে আজান দিলেও আওয়াজ দূর দূরান্তে পৌঁছে যায়, তাই এভাবে মসজিদের ভেতর মাইকে আজান দিলে তা মাকরুহ হবে না। বরং তা জায়েজ।
তবে আমলটি যাতে সালাফের তরিকার সাথে সামঞ্জস্যশীল হয় সেজন্য মাইকে আজান দিলেও মসজিদের বাইরে থেকে আজান দেওয়াই উত্তম হবে। এটি এভাবেও সম্ভব যে, মাইকের জন্য মসজিদের সঙ্গেই আলাদা কামরা থাকবে। মুয়াজজিন সেখান থেকে আজান দেবে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ২৩৪৫; কিতাবুল আছল: ১/১১৫, ১১৯; আলগায়া, সারুজি: ২/২২৭; রদ্দুল মুহতার: ১/৩৮৪; ইলাউস সুনান: ২/১৪০, ৮/৮৬; ইমদাদুল মুফতিন: ৩/৯৩)

