বিতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নামাজ। এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় বিতির পড়া যায়। এই নামাজ তিন রাকাত। অন্য ফরজ নামাজের মতো দুই রাকাতশেষে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহুদ পড়বে, কিন্তু সালাম ফিরাবে না।
তারপর তৃতীয় রাকাত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সুরা বা আয়াত মিলাবে। কিরাত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষে তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধবে। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়বে। এরপর যথানিয়মে রুকু-সেজদা ও শেষ বৈঠক শেষে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে।
বিজ্ঞাপন
বিতির না পড়া অনেক বড় গুনাহের কাজ। ফরজ নামাজের মতো এই নামাজেরও কাজা আছে। ছুটে যাওয়া নামাজের কাফফারা বা ফিদিয়া দিতে হয় বিতিরসহ ছয় ওয়াক্ত নামাজ হিসাব করে।
স্বাভাবিক নিয়মে বিতির শেষ রাতে পড়াই উত্তম। কেননা হাদিসে এসেছে, নবী (স.) বলেছেন, বিতিরকে তোমাদের রাতের শেষ সালাত করবে। (সহিহ বুখারি: ৯৯৮)
আরও পড়ুন: বিতিরে দোয়া কুনুত না পড়লে নামাজ হবে?
রমজান মাসে বিতির কখন পড়া উত্তম—এ ব্যাপারে ফিকাহবিদদের অভিমত হলো- রমজানে বিতির নামাজ একাকি শেষ রাতে আদায় করার চেয়ে তারাবির পর জামাতের সঙ্গে আদায় করা উত্তম। আর অন্য মাসে কেউ যদি শেষ রাতে ওঠার ব্যাপারে নিজের প্রতি আস্থাশীল হয়, তাহলে তার জন্য শেষ রাতে পড়াই উত্তম। শেষ রাতে ওঠার ব্যাপারে আস্থাশীল না হলে এশার নামাজের পর বিতর পড়ে নেওয়া উচিত।
বিজ্ঞাপন
(আলমুহিতুল বুরহানি: ২/২৬৫; ফতোয়া খানিয়া: ১/২৪৪; ফাতহুল কাদির: ১/৪০৯; শরহুল মুনইয়া, পৃ-৪২১; মারাকিল ফালাহ, পৃ-২১১)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিতির নামাজ ও অন্যান্য নামাজসহ শরিয়তের নানা বিষয়ে সহিহ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

