তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম ১৯টি বিষয় ও কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তন্মধ্যে ৬টি হলো উসুল/সিফত/গুণ। আর ৫টি কাজ উসুল বা সিফত অর্জনের জন্য করতে হয়। আরও ৮টি কাজ সাথীদের জন্য ইজতেমায়ি (একত্রে বা সামষ্টিকভাবে) করা জরুরি। এগুলোর আলোকে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এখানে সংক্ষেপে তাবলিগ জামাতের কাজের সঙ্গে সংযুক্ত ১৯টি বিষয় তুলে ধরা হলো—
৬ সিফত (গুণ/মূলনীতি)
১. ঈমান/কালেমা
২. নামাজ
৩. এলেম/ইলম ও জিকির
৪. একরামুল মুসলিমিন
৫. এখলাসে নিয়ত/তাসহিহে নিয়ত
৬. দাওয়াত ও তাবলিগ।
বিজ্ঞাপন
এই ছয় নীতির ভূমিকাস্বরূপ বলা হয়ে থাকে—আমাদের নবী মোহাম্মদ (স.)-এর সাহাবিরা নানা গুণে গুণান্বিত ছিলেন। তাঁরা নবী (স.)-এর সোহবতে (সাহচর্য) থেকে এ গুণগুলো অর্জন করেছিলেন। এ গুণগুলোর কারণেই তাঁদের দ্বীনের ওপর চলা সহজ হয়েছিল। আজকের দিনেও কেউ যদি এই গুণগুলো অর্জনের চেষ্টা করে, দ্বীনের ওপর চলা সহজ হয়ে যাবে। গুণগুলো অর্জনের জন্য মেহনত করে তা আমল করতে হবে। মেহনত ও আমলের তাগিদস্বরূপ বলা হয়- ‘আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে জীবনে প্রথম তিন চিল্লা (চার মাস) একটানা সময় লাগিয়ে কাজটি শিখবে। এরপর প্রতিবছর ৪০ দিন (এক চিল্লা) লাগিয়ে সে নিজেকে সক্রিয় রাখবে। একইসঙ্গে এ সিফতগুলো নিজের মধ্যে ঠিকঠাক রাখার জন্য নিয়মিত পাঁচটি কাজের মধ্যে থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় কে কখন বয়ান করবেন
তাবলিগ সাথীদের আরও ৫ কাজ
১. প্রতিদিন মাশওয়ারা (পরামর্শ করে চলা)
২. প্রতিদিন তালিম, একটি নিজের মহল্লা বা পাড়ার মসজিদে, অন্যটি নিজের ঘরে
৩. প্রতিদিন আড়াই ঘণ্টা দাওয়াতের কাজে মেহনত
৪. সপ্তাহে গাশত করা, এক দিন নিজের মসজিদে, আরেক দিন পাশের পাড়ার বা মহল্লার মসজিদে
৫. প্রতি মাসে তিন দিন আল্লাহর রাস্তায় (তাবলিগে) বের হয়ে মেহনত করা।
বিজ্ঞাপন
ইজতেমায়ি ৮ আমল
১. সফর ও মঞ্জিল
২. মাশওয়ারা (পরামর্শ)
৩. তালিম (দ্বীন শেখা)
৪. গাশত (দ্বীনের কাজে ঘোরাফেরা বা মসজিদের বাইরে গিয়ে অন্যকে দাওয়াত দেওয়া)
৫. ফরজ নামাজ
৬. খানা (সম্মিলিতভাবে খাবার খাওয়া)
৭. ঘুম
৮. উমুমি বয়ান (ব্যাপকভাবে আলোচনা/মাগরিব ও ফজরের পর সাধারণ বয়ান)

