আজান মানে ঘোষণা বা আহ্বান। এই আহ্বান সাফল্য ও কল্যাণের। যারা আজান দেন তাদের মুয়াজ্জিন বলা হয়। হাশরের মাঠে মুয়াজ্জিনরা বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হবেন।
অজু অবস্থায় আজান দেওয়া মোস্তাহাব। তাই যথাসম্ভব অজুসহ আজান দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আতা (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আজানের সুন্নত তরিকা হলো- মুয়াজ্জিন অজু অবস্থায়ই আজান দেবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ১৭৯৯)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: জুমার আজানের পর যেসব কাজ করা যাবে না
তবে অজু না থাকা অবস্থায় আজান দিলেও তা আদায় হয়ে যাবে এবং গুনাহ হবে না। ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) বলেন, মুয়াজ্জিন অজু ছাড়া আজান দিলে অসুবিধা নেই। (কিতাবুল আছার, বর্ণনা: ৫৮)
আরও পড়ুন: আজান পর্যন্ত সেহেরি খেলে রোজা হবে?
(তথ্যসূত্র: জামে তিরমিজি: ২০১; নাসবুর রায়াহ: ১/২৯২; আততালখিসুল হাবির: ১/৫০৯; হেদায়া: ১/২১৯; বাদায়েউস সানায়ে: ১/৩৭৪; ফতোয়ায়ে খানিয়া: ১/৭৭; আদ্দুররুল মুখতার: ১/৩৯২; কিতাবুল আছল: ১/১১০; আল-বাহরুর রায়েক: ১/২৬৩; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৫৪)

