সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নেক আমল গৃহীত হওয়ার জন্য ৪ করণীয়

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

নেক আমল গৃহীত হওয়ার জন্য ৪ করণীয়

যেকোনো নেক আমল আল্লাহ তাআলার কাছে কবুল বা গৃহীত হওয়ার জন্য কিছু করণীয় রয়েছে। মুমিনের উচিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা। নিচে এ সম্পর্কিত মৌলিক দিকগুলো তুলে ধরা হলো।

১. ইবাদত কবুল না হওয়ার ভয় থাকা
ইবাদত কবুল না হওয়ার ভয় থাকা ইবাদত কবুলের অন্যতম মানদণ্ড। আয়েশা (রা.) একবার নবীজি (স.)-কে পবিত্র কোরআনের আয়াত—‘আর যারা দান করে এবং তাদের অন্তর ভীত কম্পিত।’ এর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে বলেন, এরা কি তারা, যারা মদ পান করে এবং চুরি করে? নবীজি (স.) বলেন, ‘না হে সিদ্দিক তনয়া, বরং এরা হলো ওই সব লোক, যারা সিয়াম পালন করে, সালাত (নামাজ) আদায় করে, সদকা দেয়। অথচ তাদের পক্ষ থেকে এসব কবুল না হওয়ার আশঙ্কা করে। এরাই তারা, যারা কল্যাণের দিকে দ্রুত ধাবমান এবং তার দিকে অগ্রগামী।’ (তিরমিজি: ৩১৭৫)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে’

২. সন্তুষ্টির ঢেকুর তোলা যাবে না
ইবাদত করার পর বেশি কিছু করে ফেলেছি—এমনটা মনে করা যাবে না। সত্য কথা হলো- সারাজীবনের আমল নিয়েও কেউ আল্লাহর রহমত ছাড়া নাজাত পাবে না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘কস্মিনকালেও তোমাদের কাউকে নিজের আমল নাজাত দেবে না।’ তাঁরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আপনাকেও না? তিনি বলেন, ‘আমাকেও না।’ তবে আল্লাহ তাআলা আমাকে রহমত দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। তোমরা যথারীতি আমল করে নৈকট্য লাভ করো। তোমরা সকালে, বিকেলে এবং রাতের শেষভাগে আল্লাহর ইবাদত করো। মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। মধ্যপন্থা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাবে।’ (বুখারি: ৬৪৬৩)

৩. ইবাদত কবুলের আশা করা
আল্লাহর ভয় এবং তাঁর রহমতের আশা বান্দাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। শুধু ভয় মানুষের হতাশা বাড়ায়, মানুষকে বেপরোয়া করে তুলতে পারে। আর যখন আল্লাহর প্রতি ভয় ও আশার মিলন ঘটে, তখন ইবাদতে খুশুখুজু আসে এবং আল্লাহর রহমতের আশায় ঈমান বৃদ্ধি পায়। যা ইবাদত কবুলে সহায়ক ভূমিকা রাখে। মহান আল্লাহ জাকারিয়া (আ.) ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাপারে বলেন, ‘তারা সৎকাজে প্রতিযোগিতা করত, আর আমাকে আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে ডাকত, আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী।’ (সুরা আম্বিয়া: ৯০)

আরও পড়ুন: আল্লাহর ওপর ভরসা করার পুরস্কার


বিজ্ঞাপন


৪. দোয়া করা
নেক আমল কবুলের জন্য দোয়া করা নবী-রাসুলদের শিক্ষা। নবী ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.) মসজিদুল হারাম নির্মাণের সময় আল্লাহ তাআলার কাছে তাদের আমল কবুল করার জন্য দোয়া করেছিলেন। তাঁদের সেই দোয়া আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে তুলে ধরেছেন। দোয়াটি হলো— رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ উচ্চারণ: ‘রব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আংতাস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ থেকে (আমল) গ্রহণ করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞাতা।’ (সুরা বাকারা: ১২৭)

উল্লেখ্য, নেক আমলের পর কাজগুলো করতেই হবে—এমন নয়। অর্থাৎ এসব আল্লাহ তাআলার দেওয়া ফরজ নির্দেশনা মনে করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমল কবুলের জন্য বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুমিন মুসলমানের উচিত, যেকোনো নেক আমল কবুলের জন্য উল্লেখিত পন্থাগুলো অবলম্বন করা। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমাদের ভালো কাজগুলো কবুল করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর