মানুষ মাত্রই ভুল করে। নামাজেও ভুল হতে পারে। তাই নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে অমনোযোগ, অন্যমনস্ক হওয়া উচিত নয়। বরং একনিষ্ঠ ও ধীরস্থিরতার সঙ্গে নামাজ পড়াই শরিয়েতের নির্দেশ। এতে ভুল হওয়ার আশংকা কমে যায়। এরপরও ভুল হতে পারে। ভুলে ফরজ ছেড়ে দিলে নামাজ হয় না, ওই নামাজ পুনরায় পড়তে হয়। আর ওয়াজিব তরক হয়ে গেলে সাহু সেজদা জরুরি হয়ে যায়।
ওয়াজিব তরকের পরও কেউ ভুলে সাহু সেজদা না দিলে ওই নামাজ পুনরায় পড়তে হবে। কেউ এক রাকাতে ভুলে তিন সেজদা দিলে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতে, সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়ে যাবে। সাহু সিজদা আদায় না করলে, নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।
বিজ্ঞাপন
হজরত আতা (রহ) বলেন, ‘যদি তুমি নিশ্চিত হও যে, কোনো রাকাতে তিনটি সেজদা করেছ, তবে নামাজ পুনরায় পড়বে না; বরং সাহু সেজদা করে নিবে।’ (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক: ৩৫২৪; আল-মুহিতুল বুরহানি: ২/৩০৮; কিতাবুল আছল: ১/২১১; বাদায়েউস সানায়ে: ১/৪০১)
আরও পড়ুন: নামাজে প্রত্যেক সুরায় বিসমিল্লাহ পড়া জরুরি?
উল্লেখ্য, সালাম ফেরানোর পরও সেজদায়ে সাহু আদায়ের সুযোগ থাকে। সালাম ফিরিয়ে নামাজ-বহির্ভূত কোনো কাজ যেমন কথা বলা, মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত স্মরণ হলেই— সাহু সেজদা করে নেবে এবং যথানিয়মে সালাম ফেরাবে। প্রখ্যাত তাবেয়ি ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) বলেন, ওই (সেজদায়ে সাহু) দুইটি তার উপর আবশ্যক, যতক্ষণ না সে (মসজিদ থেকে) বের হয় বা কথা বলে ফেলে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৪৫১৪)
বিজ্ঞাপন
আর যদি কোনোভাবেই সাহু সেজদা আদায় না করা হয়, তাহলে ওই নামাজ পুনরায় পড়ে নিতে হবে। (তথ্যসূত্র: কিতাবুল আছল: ১/২০১; আলমুহিতুল বুরহানি: ২/৩২৫; ফাতহুল কাদির: ১/৪৫১; আলবাহরুর রায়েক: ২/৯৫; মারাকিল ফালাহ পৃ. ২৫৬; রদ্দুল মুহতার: ১/৪৫৬)

