মুমিনের জন্য দুনিয়ায় তেমন চাওয়া-পাওয়া না থাকলেও পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভ তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। অর্থাৎ জান্নাত মুমিনের আকাঙ্ক্ষিত ও সর্বশেষ ঠিকানা। জান্নাত লাভের জন্য ঈমান ও আমলের পাশাপাশি দোয়ার শিক্ষা রয়েছে হাদিসে। কেননা আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করতে পছন্দ করেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
তাই দোয়া থেকে গাফেল হওয়া অনুচিত। বিশেষ করে জান্নাত লাভের জন্য দোয়া করতে যেন ভুল না হয়। নিচে জান্নাতলাভের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া হাদিসের আলোকে তুলে ধরা হলো।
বিজ্ঞাপন
জান্নাত লাভের দোয়া
اللهم اني اسالك الجنة واعوذ بك من النار উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাহ, ওয়া আঊযুবিকা মিনান্নার।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে জান্নাত কামনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, কোনো লোক আল্লাহ তাআলার নিকট তিনবার জান্নাত প্রার্থনা করলে জান্নাত তখন বলে, হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর কোনো লোক তিনবার জাহান্নাম হতে পানাহ (আশ্রয়) চাইলে জাহান্নাম তখন আল্লাহ তা’আলার নিকট বলে, হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন। (সুনানে তিরমিজি: ২৫৭২)
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু হলে দ্রুত সুস্থ হতে যে দোয়া পড়বেন
যে দোয়ায় জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়
رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا ، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا ، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا উচ্চারণ: ‘রাদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’। অর্থ: ‘আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ (স.)-কে রাসুল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি।’ আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) ইরশাদ করেন— যে ব্যক্তি দোয়াটি পড়বে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।’ হাদিসে আছে, এই কথাটি শোনে আবু সাইদ (রা.) আনন্দে বিস্মিত হয়ে যান। (আবু দাউদ: ১৫২৯)
অন্য এক হাদিসে মুনাইজির (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আমি রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছি- যে সকালে ‘রাদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’ পড়বে— আমি তার হাত ধরে তাকে জান্নাতে পৌঁছে দেবো। (মুজামুল কবির: ৩৫৫/২০; সিলসিলাতুস সহিহা: ২৬৮৬)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: জান্নাতিদের অভ্যর্থনা জানানো হবে যেভাবে
যে দোয়ায় জান্নাতে বৃক্ষ রোপণ করা হয়
سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি।’ জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এই দোয়া পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি: ৩৪৬৪)
অতএব, উল্লেখিত দোয়াগুলোর মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে সবসময় জান্নাত কামনা করব। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

