স্মরণকালের ভয়াবহতম ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মরক্কোর কয়েকটি শহরের জনজীবন। ছোট-বড় সবধরনের অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি কোরআনের পাঠ। ধ্বংসস্তূপের পাশেই তাঁবু টানিয়ে চলছে কোরআনের দরস। শিশুরা সেখানেই নিচ্ছে পাঠ।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকম্পমুক্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত মরক্কোর কয়েকটি শহরে গত ৮ সেপ্টেম্বর ছয় দশমিক আট মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে আক্রান্ত এলাকাগুলোর কোনো অবকাঠামোই আর অক্ষত থাকেনি। সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। আবার অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিজ্ঞাপন
সেই ভূমিকম্পে অন্যসব স্থাপনার সঙ্গে ধসে পড়েছে স্থানীয় মসজিদগুলোও। ফলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় মসজিদগুলোতে থাকা কোরআন শিক্ষার ক্লাসে। কিন্তু বাড়িঘর ঠিক না হলেও এরই মধ্যে আবার কোরআন শিক্ষার ক্লাসগুলো শুরু হয়েছে। মরক্কোর মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ তাজিমারির একটি এলাকায় এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।

শিশুদের কোরআন হিফজ অব্যাহত রাখতে কর্তৃপক্ষ আপাতত তুবকাল পর্বতের নিকটবর্তী একটি উঁচু টিলায় তাঁবু টানিয়ে দিয়েছে। সেখানে বসেই দিব্যি উচ্চৈস্বরে কোরআন মুখস্ত করছে শিশুরা।
জানা গেছে, ভূমিকম্পের ফলে মসজিদে বড় ধরনের ফাটল ধরেছে। ফলে সেখানে নামাজ আদায় এবং কোরআনের দরস অব্যাহত রাখায় ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য তাঁবু গেড়েই কোরআনের শিক্ষাদান চলছে।
বিজ্ঞাপন
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মাউন্ট তুবকালের কাছে তজি-মারি এলাকায় কোনোভাবে তৈরি করা তাঁবুটির মধ্যে বেশ কিছু শিশু রয়েছে। তবে তাদের হাতে পবিত্র কোরআনের কোনো প্রতিলিপি নেই। বরং তারা কোরআনের আয়াত খোদাই করা কাঠের তক্তা দেখে দেখে তা থেকে কোরআন মুখস্থ করছে।
জেবি

