শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জুমার রাতের যে সময়টিতে দোয়া করলেই কবুল

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

জুমার রাতের যে সময়টিতে দোয়া করলেই কবুল

আরবি হিসেবে বৃহস্পতিবার রাত জুমাবারের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কিছু ফজিলতপূর্ণ আমলের দিকে নজর দেওয়া উচিত। বিশেষ করে শেষ রাতের দোয়া আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘পাঁচটি রাত এমন রয়েছে, যে রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।— ১. জুমার রাত। ২. রজব মাসের প্রথম রাত। ৩. শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত (শবে বরাত)। ৪. ঈদুল ফিতরের রাত। ৫. ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজজাক: ৭৯২৭) 


বিজ্ঞাপন


অতএব, জুমার রাত তথা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুমিন মুসলমানের উচিত দোয়ার প্রতি মনোনিবেশ করা। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘হে আলী! শুক্রবার রাতের শেষ তৃতীয়াংশে সাহস করে উঠে পড়ো, কারণ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং এতে দোয়া কবুল হয়।’ (মুসতাদরাক আলাস সহিহাইন: ১১৯০)

আরও পড়ুন: তাহাজ্জুদের সময় নামাজের পরিবর্তে শুধু দোয়ার কোনো মূল্য আছে?

হাদিসে দেখা যাচ্ছে, শুক্রবার শেষরাত তথা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দোয়া করতে উৎসাহিত করেছেন নবীজি (স.)। যে সময়টাতে নেককার বান্দারা তাহাজ্জুদ আদায় করে থাকেন। সুতরাং দোয়া কবুলের এই উপযুক্ত সময়টিতে আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে দোয়া করা উচিত হবে।

দোয়া কবুলের জন্য কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। তাহাজ্জুদ নামাজ শেষে সুরা ফাতেহা এবং তিনবার করে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ার পর নবীজির প্রতি দরুদ পড়ে দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে দোয়া করলে তা কবুল হয়। এছাড়া আল্লাহর কাছে কোনোকিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া, হতাশা, সংশয় কিংবা অমনোযোগ বর্জনীয়। এসবকিছু দোয়া কবুলে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং দৃঢ়বিশ্বাসের সঙ্গে যা যা চাওয়ার, জুমার রাতে আল্লাহর কাছে চান। না পাওয়ার মতো বিষয়ও আল্লাহ তাআলা চাইলে দিতে পারেন দোয়ার কারণে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘দোয়া ছাড়া আর কিছুই আল্লাহর সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারে না।’ (তিরমিজি: ২১৩৯) 


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ইস্তেগফার কাকে বলে, ফজিলত কী?

মনে রাখা জরুরি, দোয়া কখনো বিফলে যায় না। হাদিসে এসেছে, ‘কোনো মুসলিম দোয়া করার সময় কোনো গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দোয়া না করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে এ তিনটির কোনো একটি দান করেন। ১. হয়ত তাকে তার কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ দুনিয়ায় দান করেন। ২. অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন। ৩. অথবা তার কোনো অকল্যাণ বা বিপদাপদ তার থেকে দূরে করে দেন। সহাবিরা বলেন, তাহলে তো আমরা অনেক বেশি লাভ করব। তিনি বলেন, আল্লাহ এর চেয়েও বেশি দেন। (আত-তারগিব: ১৬৩৩)

আরও পড়ুন: ১৪ পাপের শাস্তি ‍দুনিয়ায় দেওয়া হয়

সর্বোপরি আল্লাহ তাআলা নিশ্চয়তা দিচ্ছেন যে—‘তোমরা আমার কাছে দোয়া করো; আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব।’(সূরা মুমিন: ৬০) আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। বিশেষ করে জুমার রাতটিকে কাজে লাগানোর তাওফিক দান করুন। আমিন। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর