শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হাসান ও হোসাইন (রা.)-এর নাম রেখেছেন কে?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৪:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

হাসান ও হোসাইন (রা.)-এর নাম রেখেছেন কে?

নবীকন্যা ফাতেমা (রা.)-এর সন্তান হাসান ও হোসাইন (রা.) ছিলেন নবীজির বাগানের দুই ফুল।  প্রিয়নবী (স.) তাঁদের ব্যাপারে বলেছেন, হাসান ও হোসাইন দুজন এই পৃথিবীতে আমার দুটি সুগন্ধময় ফুল। (তিরমিজি: ৩৭৭০)

তাঁদের প্রতি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর ভালোবাসা এতটাই গভীর ছিল যে অবসরে তাঁদের দুজনকে বুকে জড়িয়ে রাখতেন এবং যারা তাঁদের ভালোবাসবে তাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। 


বিজ্ঞাপন


মহান আল্লাহও তাঁদের দুজনকে ভালোবাসতেন। হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তাআলাই তাঁদের নাম নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় তাঁদের পূর্ব নাম ‘হামজা’ ও ‘জাফর’ পরিবর্তন করে ‘হাসান’ ও ‘হোসাইন’ রাখা হয়। এ ব্যাপারে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যেখানে আলী (রা.) বলেন, ‘যখন হাসানের জন্ম হলো, তখন তার নাম রাখলাম হামজা। যখন হুসাইন ভূমিষ্ঠ হলো তখন তার নাম রাখলাম জাফর। এরপর রাসুলুল্লাহ (স.) আমাকে ডাকলেন এবং বলেন, ‘এই দুজনের নাম বদলে দেওয়ার জন্য আমাকে আদেশ দেওয়া হয়েছে।’ আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই এ বিষয়ে ভালো জানেন। অতঃপর তিনি তাদের নাম রাখলেন হাসান ও হুসাইন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৩৭০, হাদিসের মান হাসান)

হাসান ও হোসাইনের মর্যাদা রাসুল (স.) থেকে একাধিক সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, হাসান ও হোসাইন (রা.) প্রত্যেকেই জান্নাতি যুবকদের সর্দার। (তিরমিজি: ৩৭৬৮)

নবী পরিবারের সদস্য বা আহলে বাইতের প্রতি মহব্বত রাখা ঈমানের অন্যতম আলামত। এক হাদিসে হাসান ও হোসাইন (রা.)-এর ব্যাপারে নবীজি (স.) বলেন, ‘এরা দুজন আমার পৌত্র (দৌহিত্র) এবং আমার কন্যার পুত্র। হে আল্লাহ! আমি এদের দুজনকে ভালোবাসি। সুতরাং তুমি তাদের ভালোবাসো এবং যে ব্যক্তি এদের ভালোবাসবে, তুমি তাদেরও ভালোবাসো।’ (তিরমিজি: ৩৭৬৯) 

আরও পড়ুন: আশুরার যে আমলে সারাবছর রিজিক প্রশস্ত থাকে


বিজ্ঞাপন


ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে মহব্বত করো। কেননা তিনি তোমাদেরকে তাঁর নেয়ামতরাজি খাবার খাওয়াচ্ছেন। আর আল্লাহ তাআলার মহব্বতে তোমরা আমাকেও মহব্বত করো এবং আমার মহব্বতে আমার আহলে বাইতকেও মহব্বত করো। (সুনানে তিরমিজি: ৩৭৮৯)

হজরত হোসাইন (রা.) ৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এর আগে  হাসান (রা.)-কে ৬৭০ খ্রিস্টাব্দের ১ এপ্রিল বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়। তবে বিষপ্রয়োগের সঙ্গে কে জড়িত, তা সহিহসূত্রে স্পষ্ট নয়।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর