শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বৈদেশিক মুদ্রার সংগ্রহ বাড়ানোসহ ১৩ দাবি প্রবাসীদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

বৈদেশিক মুদ্রার সংগ্রহ বাড়ানোসহ ১৩ দাবি প্রবাসীদের

দেশের ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতিকে বাঁচাতে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্বের বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্মিলিত ফোরাম।

রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব দাবি জানান ফোরামের চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার মির্জা জিল্লুর রহমান।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলোর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগুলো যদি কার্যকরভাবে সমন্বিত এবং যোগাযোগ করা হয়, তাহলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে সহযোগিতা করতে পারে।

এ সময় দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি। 

দাবিগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য ফরেন কারেন্সি বা বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ বা রেমিট্যান্স ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়াতে হবে। প্রবাসীদের কোনো রকম প্রতিনিধিত্ব আজ পর্যন্ত ত্বত্তাবধায়ক সরকারের কোনো পর্যায়ে পরিলক্ষিত হয়নি। আমরা এই ব্যাপারে খুবই মর্মাহত। আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাঠিয়ে এই দেশের নাজুক অর্থনীতিকে সচল করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এর বিনিময়ে আমরা পেয়েছি অবহেলা ও অবমাননা। এর সমাধান চাই।

আরও পড়ুন

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে হরিলুট, মূল হোতাদের ধরতে পুলিশের চিঠি

আমরা আজকে দ্ব্যর্থ ভাষায় ঘোষণা করতে চাই, দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশন, পার্লামেন্ট, বিদেশ মিশন, সামরিক বেসামরিক প্রতিটি সেক্টরে বৈষম্যহীনভাবে নাগরিক আনুপাতিকহারে প্রতিনিধিত্ব আমরা চাই। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সংস্কারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা যেন শতভাগ বাস্তবায়ন হয়, আমরা প্রবাসীরা এই সরকারের কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশা করছি।

আমাদের ভোটাধীকার নিয়ে বিগত কোনো সরকারই সঠিক সিন্ধান্ত নিতে পারেনি, আমরা আমাদের ভোটাধীকার ফিরে পেতে চাই। আমরা এই দেশের নাগরিক।

বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রফতানিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। আরব আমিরাত, ইউরোপ-আমেরিকা, যুক্তরাজ্যে আগামী ৫ বছরে আরও ২০ লাখ লোক পাঠানোর জন্য একটি দৃঢ় পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নিতে হবে। যে বিষয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের কোটাসহ দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিদের হাইকমিশনের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি কার্ড) প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

যতদিন পর্যন্ত এনআইডি কার্ড প্রদান না করা হবে ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশি পাসপোর্ট বা বিদেশি পাসপোর্টকে বাংলাদেশে আইডি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ হাইকমিশন, যুক্তরাজ্য থেকে পাওয়ার অব এটর্নি প্রদান করতে বৃটিশ পাসপোর্টকে আইডি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। কারণ বৃটিশ পাসপোর্টে নো ভিসা সিল ও জন্মস্থান উল্লেখ রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনগুলোতে পাসপোর্ট বানাতে পুরুষদের মাথায় টুপি পড়তে দেওয়া হয় না। তা বাতিল করতে হবে।

বাংলাদেশ বিমানের লন্ডন-সিলেট রুটে বিমানের ভাড়া কমাতে হবে এবং ঢাকা ও সিলেটের মধ্যে অত্যধিক ভাড়ার বৈষম্য দূর করতে হবে।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অন্যান্য বিদেশি বিমানের ফ্লাইট চালু করতে হবে। বিগত সালে শুরু হওয়া ওসমানী বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জায়গা-সম্পত্তি বেদখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

২০২৪ সালে জুলাই-আগষ্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দেলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবীদের সকল মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্মিলিত ফোরামের বাংলাদেশ সমন্বয়ক মীর মো. নসির উদ্দিন।

এমআইকে/এমএইচএম 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর